জাহাজ এমটি প্রডিউসার ভাঙতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশ | ২৯ আগস্ট ২০১৭, ১৭:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিদেশ থেকে আনা স্ক্রাপ জাহাজ ‘এমটি প্রডিউসার’ এর পাইপে তেজস্ক্রিয়তা পাওয়ায় জাহাজটি ভাঙার ওপর আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জাহাজের তেজস্ক্রিয়তা নিরুপণে মলিকপক্ষের করা কমিটির প্রতিবেদনও চেয়েছেন আদালত।

পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।

আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, এ এম আমিন উদ্দিন, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমেদ কবীর। জাহাজ মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী।

সাঈদ আহমেদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ওই জাহাজের পাইপে জেতস্ক্রিয় পদার্থ গামা থাকার কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সম্পূরক আবেদন করা হয়। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ওই জাহাজ ভাঙায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

মেসার্স জনতা শিপইয়ার্ড ওই জাহাজটি ভাঙার জন্য আমদানি করে। এমটি প্রডিউসারকে আমদানি, সৈকতায়ন এবং ভাঙার অনুমতি দেয়ার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি হাইকোর্টে রিট করে। এরপর গত ৮ জুন ওই জাহাজের তেজস্ক্রিয়তা বিষয়ে প্রতিবেদন ১০ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং বাংলাদেশ কাস্টমসের মেগা পোর্ট ইনিশিয়েটিভকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে আদালত আমদানিকারকসহ মামলার ১৮ জন বিবাদীকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এমটি প্রডিওসার নামের জাহাজের অনুকূলে দেওয়া ছাড়পত্র কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং কেন মিথ্যা ঘোষণা দেওয়ার কারণে বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

সাঈদ আহমেদ কবির জানান, এর মধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিবাদীরা জাহাজ পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করেন। ওই প্রতিবেদনে তেজস্ক্রিয় গামা রশ্মি পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে এ প্রতিবেদন পেয়ে হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করি। এরপর আদালত নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। একইসঙ্গে মলিকপক্ষ ওই জাহাজের তেজস্ক্রিয়তা নিরুপণে একটি কমিটি করে। আদালত ওই কমিটির প্রতিবেদনও চেয়েছেন।

ঢাকাটাইমস/২৯আগস্ট/এমএবি/এমআর