শতভাগ কারখানায় বেতন-বোনাস পরিশোধ: বিজিএমইএ

প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০১৭, ১৫:২৩ | আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০১৭, ১৫:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঈদুল আজহার আগে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএমইএ)এর অধীনে সব পোশাক কারখানায় বেতন ও বোনাস দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন সংগঠনের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। অধিকাংশ কারখানায় আগস্ট মাসের অগ্রিম বেতনও দেয়া হয়েছে হয়েছে বলে জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজিএমইএ অফিসের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি এই কথা বলেন।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদেরর জানা মতে উৎসব ভাতা ও জুলাই মাসের বেতভাতা প্রদান করা হয়েছে শতভাগ কারখানায়। শ্রমিকদের সঙ্গে সমঝোতা করে অধিকাংশ কারখানায় আগস্ট মাসের অগ্রিম বেতন আংশিক ও পূর্ণ প্রদান করা হয়েছে।’

সাংবাদকিদের এক প্রশ্নের জবাবে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘বিজিএমইএর অধীনে তিন হাজার ১০০টি কারখানা চালু আছে। আমরা এসব কারখানার কথা বলছি। সদস্য নয় এমন কারখানার কথা আমরা বলতে পারবো না। সেটা আমাদের দায়িত্বও নয়।’

এসময় সিদ্দিকুর রহমান জানান, এখন পর্যন্ত ছুটি হয়েছে ৯০ শতাংশ কারখানায়। আজকের মধ্যেই অবশিষ্ট কারখানাগুলো ছুটি দেয়া হবে।

প্রতি বছরই ঈদের আগে পোশাক কারখানায় বেতন-বোনাসের বিষয়টি নিয়ে এক ধরনের দোলাচাল তৈরি হয়। ঈদের কথাতো আগে থেকেই জানা থাকে তারপরও এমন কেন হয় সাংবাদিকদের এম প্রশ্নের জবাবে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, আসলে সব মালিকের হাতেইতো নগন টাকা থাকে না। অনেক সময় তাদের কোনো অর্ডারের টাকা হাতে পেয়ে বেতন দিতে হয়।এবারও দুটি কারখানার মালিককে কারখানার মেশিন বিক্রি করে বেতন পরিশোধ করতে হয়েছে। ৪০ লাখ শ্রমিকদের হাজার হাজার কোটি টাকা বেতন দিতে কিছু সমস্যা হয়ওয়াতো স্বাভাবিক।তবে আমাদের জানামতে এখন আমাদের হাতে বেতন ভাতা পরিশোধ বিষয় সমাধান করা হয়নি এরকম একটি কারখানা নেই।

চট্টগ্রাম পোর্টের সমস্যা তুলে ধরে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে মালামাল আমদানি-রপ্তানির কাজে ২৪ ঘণ্টা চালু থাকার কারণে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রমে কিছুটা গতি এলেও সামগ্রিকভাবে টার্ন এরাউন্ড টাইম এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। বহির্নোঙ্গরে জাহাজের অবস্থানকাল এখনো ৪-৯ দিন যা আরও কমিয়ে আনা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বন্দরে জেটি সংখ্যা বৃদ্ধি করা, ইয়ার্ড সম্প্রসারন, কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক ইকুইপমেন্ট ও ক্রেন সংগ্রহ করার দাবি আবারো জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই বিজিএমইএর থেকে জানানো হয় চট্টগ্রাম বন্দরের কি-গ্যান্ট্রি ক্রেন প্রয়োজন ২৬টি, চট্টগ্রাম বন্দরে আছে চারটি, এরমধ্যে দুইটিই বন্ধ। রাবার টায়ার্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন বন্দরে প্রয়োজন ৫২টি, আছে ২৩টি; এম্পটি হ্যান্ডলার ৩৯টি প্রয়োজন, আছে ১৯টি, ট্রাক্টর ট্রেইলর ১৩০টি প্রয়োজন, আছে ৪৩টি।

(ঢাকাটাইমস/৩১আগস্ট/জেআর/জেবি)