ঢাকা-৩

আ.লীগের কেবল নসরুল হামিদ মাঠে

তানিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:৩১

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী নেতারা তৃণমূলে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। দেশের প্রায় প্রতিটি আসনে আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আগাম জনসংযেগ করছেন নানাভাবে। তবে রাজধানীর শহরতলী কেরানীগঞ্জের (ঢাকা-৩) আসনে এর ব্যতিক্রম। বর্তমান সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ বিপু ছাড়া দলটির আর কোনো মনোনয়নপ্রত্যাশী নির্বাচনের মাঠে নেই।

২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন পুনর্বণ্টনের পর কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, আগানগর, তেঘরিয়া কোন্ডা ও শুভাঢ্যা ইউনিয়ন নিয়ে গঠন করা হয় ঢাকা-৩ আসন। প্রথমবারের মতো এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নসরুল হামিদ। তিনি বিএনপির প্রভাবশালী প্রার্থী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে পরাজিত করেন।

এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি। তার দল সরকার গঠনের পর তিনি দায়িত্ব পান বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর।

পারিবারিকভাবে একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান নসরুল হামিদ বিপু । তার প্রয়াত বাবা হামিদুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। স্বাধীনতার আগে তিনি আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশের প্রথম সংসদের নির্বাচিত এমপি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া বিপুর মা হাসনা হামিদও রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।

নসরুল হামিদ বিপু তৃণমূল থেকে উঠে আসা একজন রাজনীতিবিদ। ১৯৯৪ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত কেরানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ছিলেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি নসরুল হামিদ একজন সফল ব্যবসায়ী ও সংগঠক। তিনি রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) সাবেক সভাপতি।

কেরানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জানান, নসরুল হামিদের যোগ্য নেতৃত্বে কেরানীগঞ্জের আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থান শক্তিশালী হয়েছে। এ ছাড়া স্বচ্ছ ভাবমূর্তি থাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতাও অনেক বেশি। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করলেও দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন তিনি। নিয়মিত যান নির্বাচনী এলাকায়। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি দেখভাল করেন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড।

তাকে একজন সৎ মানুষ হিসেবেও জানে কেরানীগঞ্জের মানুষ। জিনজিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাকুর হোসেন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বিপু ভাই সৎ মানুষ। এলাকার মানুষের কথা সার্বক্ষণিক চিন্তা করেন। স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই আমাদের এখানের বিপু ভাইয়ের কোনো বিকল্প নেই। তিনিই আগামীতে নৌকার প্রার্থী হবেন।’

ঢাকাটাইমস/৪সেপ্টেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :