ময়মনসিংহে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা নির্মাণ

প্রকাশ | ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:৩৪ | আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২০:৫৭

মনোনেশ দাস, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে জেলার ১৩ উপজেলার সাত শতাধিক মণ্ডপে প্রতিমা নির্মাণের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট প্রতিমা নির্মাণশিল্পীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলার বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও কাঠামো তৈরি,  আবার কোথাও সেখানে মাটির প্রলেপ দেয়া হচ্ছে। বাংলা সনের ৯ আশ্বিন অনুষ্ঠিত হবে ষষ্ঠী পূজা।

এবার সাত শতাধিক মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা পূজা উদযাপন কমিটি।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। প্রতিমার মাটির কাজ হয়ে গেলেই রঙ-তুলি ও সাজসজ্জার কাজ শুরু হবে।

জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ প্রশাসন, ময়মনসিংহ র‌্যাব-১৪ কোম্পানি সূত্র জানায়, প্রত্যেকটি মণ্ডপের নিরাপত্তায় আনসার-পুলিশের পাশাপশি র‌্যাবের নিয়মিত টহল দল থাকবে। ইতোমধ্যে মণ্ডপগুলোর পরিদর্শন চলছে।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতির নেতারা জানান, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অঞ্চল হিসেবে ময়মনসিংহের ঐতিহ্য অতীতকাল থেকেই। এখানে অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবছরও সাড়ম্বরে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১৩ উপজেলায় মোট ৭১০টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা পালিত হবে। এর মধ্যে জেলা সদরে ১১২টি, মুক্তাগাছায় ১০৯টি, ত্রিশালে ৬২টি, ফুলবাড়ীয়ায় ৬০টি, ভালুকায় ৬০টি, হালুয়াঘাটে ৫২টি, তারাকান্দায় ৪৯টি, ঈশ্বরগঞ্জে ৪৯টি, গৌরীপুরে ৪৭টি, ফুলপুরে ৩৮টি, ধোবাউড়ায় ২৯টি, নান্দাইলে ২৫টি এবং গফরগাঁওয়ে ১৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এবারও সমসংখ্যক মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।

জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শংকর সাহা জানান, ষষ্ঠীর মাধ্যমে পাঁচ দিনব্যাপী এ দুর্গোৎসব শুরু হবে এবং বিজয়া দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে উৎসবের সমাপ্তি হবে।

ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ময়মনসিংহে দুর্গাপূজার আছে অতীত ইতিহাস। বিগত শতাব্দীর চল্লিশের দশকে মহাসমারোহে দুর্গাপূজা হতো ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা ও গৌরীপুর জমিদার বাড়িতে। পূজার প্রধান আকর্ষণ থাকতো যাত্রা। সপ্তমী থেকে নবমী এই তিন দিন মন্দির প্রাঙ্গণে বসতো যাত্রার আসর। দেশীয় দলের পাশাপাশি ভারতের কলকাতার দলগুলোকেও এখানে বায়না করে আনা হতো। মুক্তাগাছার জমিদারদের আয়োজনে বিজয়া দশমীর দিন হাতির মিছিল হতো।

(ঢাকাটাইমস/৪সেপ্টেম্বর/ব্যুরো প্রধান/এলএ)