এবার তরুণদের ‘ড্রিমারে’ ট্রাম্পের খড়গ

প্রকাশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৯:১৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়ে করা অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসীদের সুরক্ষা সংক্রান্ত কর্মসূচি বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। 'ডাকা' বা 'ড্রিমার' নামে পরিচিত এই প্রকল্প বাতিল করা ট্রাম্পের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল।

অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস মঙ্গলবার এ প্রকল্পের অবসান ঘোষণা করেন। এর ফলে বারাক ওবামার সময়ে নেয়া 'ডেফারড অ্যাকশান ফর চিলড্রেন অ্যারাইভাল' বা 'ডাকা' নামের প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটলো। ফলে দুই বছর ছাড়ের মেয়াদ শেষ হবার পর কাজ বা পড়ালেখার সুযোগ হারাবে অন্তত আট লাখ অভিবাসী তরুণ।

পাঁচ বছর আগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ওবামার চালু করা এই প্রকল্পের আওতায় সুরক্ষা পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রায় আট লাখ অনিবন্ধিত তরুণ অভিবাসী। যাদের বেশিরভাগই লাতিন আমেরিকার দেশগুলো থেকে এসেছিল।

আইনের ফাঁক গলে আসা তরুণদের বিতারণের হাত থেকে রেহাই দিয়ে সেদেশে বসবাস, পড়াশোনা ও ভবিষ্যত কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছিল ওবামা প্রশাসন। অবশ্য সমালোচকরা এই প্রকল্পকে অবৈধ অভিবাসীদের ক্ষমা করার নামান্তর বলে এসছেন।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আশা করেন যে, তার ভাষায় এসব তথাকথিত ড্রিমারদের বিষয়ে একটির দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান খুঁজে পাবে মার্কিন কংগ্রেস।

কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে একটি বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, ‘মানুষ তাদের শিশু মনে করলেও আসলে তারা যথেষ্ট বড়। তাদের জন্যে আমার ভালোবাসাও রয়েছে, আর আমি আশাবাদী যে কংগ্রেস তাদের যথাযথই সহায়তার ব্যবস্থা করতে পারবে। আমি কংগ্রেসের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে এ নিয়ে সঠিক কাজটি করতেও বলেছি। আর সত্যিই আমাদের কোনো উপায় ছিলনা। আমি মনে করি এখন এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সঠিক সমাধানের দিকেই যাচ্ছে।’

অবশ্য এ প্রকল্পের আওতায় থাকা তরুণদের আগামী ছয় মাস কোনো সমস্যা হবে না।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে 'নিষ্ঠুর' এবং 'ভুল' বলে এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। 'ডাকা' প্রকল্প বাতিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে কয়েকটি শহরে। নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে থেকে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ। তবে কোথাও কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মেক্সিকো ও এল-সালভেদরের সরকার তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীদের দেখা গেছে মেক্সিকোর মার্কিন দূতাবাসের সামনেও।

(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/জেএস)