ঠাকুরগাঁওয়ে নববধূ ‘হত্যা’য় মামলা

প্রকাশ | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১১:০৪

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বোয়ালধার ফতেপুর গ্রামে যৌতুকের দাবিতে নববধূ নাছরিনকে হত্যা করে লাশ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানোর ঘটনায় স্বামী রেজাউলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বোয়ালধার ফতেপুর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে রেজাউল ইসলামের সাথে একই উপজেলার চাড়োল গ্রামের নাজিম উদ্দীনের কন্যা নাছরিন আকতারের ৭ মে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়েতে নগদ পাঁচ লাখ টাকাসহ আসবাবপত্র দেয়া হয় রেজাউলের পরিবারকে।

বিয়ের কিছুদিনের মাথায় রেজাউলের পরিবারকে পেয়ে বসে যৌতুকের নেশা।  তারা আরো যৌতুকের জন্য সময়ে অসময়ে শারীরিক ও  মানসিক নির্যাতন চালাতো ওই নববধূর উপর।

গত ৩ সেপ্টেম্বর (ঈদের পরের দিন) দুপুরে নাসরিনের পিতা নাজিম উদ্দীন জামাই মেয়েকে ঈদের দাওয়াত দেয়ার জন্য গেলে তারা তার মেয়ের সঙ্গে  দেখা করতে দেয়নি। ফলে মেয়ের বাড়ি হতে ওই দিনই ফিরে আসেন পিতা নাজিম উদ্দীন।ওই দিন রাত সাড়ে ১১টায় ওই বাড়ির লোকজন মোবাইল ফোনে খবর দেয় যে, নাছরিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

এ খবর শোনার পর নাছরিনের দুলাভাই নজিব উদ্দিন শ্যালিকার খবর নিতে গেলে রেজাউলের বাড়ির লোকজন তাকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়নি এবং  অপমান করে তাড়িয়ে দেয়।

পরদিন সোমবার সকাল ৬টায় রেজাউলের ভগ্নিপতি নাসরিনের পিতাকে মোবাইল ফোনে খবর দেয় যে, নাসরিন রাতে পালিয়ে গিয়ে পাশের হিন্দু বস্তিতে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

খবর শুনে নাসরিনের পিতা ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে নাছরিনের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় যে, লাশের বাম পায়ের আঙ্গুল দিয়ে রক্ত ঝরছে এবং শয়ন ঘরের মেঝে ও দরজায় রক্তের দাগ লেগে আছে।

এ ঘটনায় মেয়ের পিতা বাদী হয়ে  জামাতা রেজাউল, বিহাই নুর ইসলাম, বিয়াইন আনোয়ারা বেগমসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান জানান, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

পুলিশ সুপার ফারহাত আহমেদ জানান, মামলা দায়ের হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চলছে।

(ঢাকাটাইমস/৬সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)