ভিডিও প্রকাশের হুমকিতে বারবার ধর্ষণ, স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৭ | আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৫১

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র মুঠোফোনে ধারণ করে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে কয়েকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে শুক্রবার বিকালে ধর্ষিতা বাদী হয়ে লিটন আহাম্মেদকে (৪৫) একমাত্র আসামি করে মামলা করেছেন। মেয়েটি বর্তমানে প্রায় পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা (১৯ সপ্তাহ)।

অভিযুক্ত লিটন আহাম্মেদ উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বড়চওনা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।   

মামলার সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের আনুমানিক ২৮ তারিখ বিকাল বেলায় মেয়েটি পাশের বাড়ি লিটনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে লিটন কৌশলে তাঁর ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ওই মেয়েটির বিবস্ত্র ছবি ও ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করেন লিটন। ভিডিওটি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া এবং বাবা-মাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে লিটন ওই মেয়েটিকে নিয়মিত ধর্ষণ করতেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

মেয়েটি জানায়, লিটন ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। মেয়েটির পরিবার গত ২৩ আগস্ট স্থানীয় একটি ক্লিনিকে মেয়েটির আল্ট্রাসনোগ্রাম করায়। ওই প্রতিবেদনে মেয়েটি ১৭ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করা হয়।

মেয়েটির বাবা বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে বিষয়টি জানাজানি হলে লিটন আমাদের পরিবারকে মামলা না করার হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছেন।

এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, লিটন আগে থেকে দুষ্টু চরিত্রের। নারীসংক্রান্ত অনেকগুলো অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ায় লিটন গা ঢাকা দিয়েছেন। এলাকাবাসী তার বিচার দাবি করেছে।

এ বিষয়ে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদুল আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামি লিটন আহম্মেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শনিবার মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।

(ঢাকাটাইমস/০৮সেপ্টেম্বর/আরকে/জেবি)