আসছে ৪০০০ কিলোমিটার গতির ট্রেন

প্রকাশ | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৩৯

অটোমোবাইল ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

পৃথিবীর দ্রুতগতির ট্রেন চালু করতে গবেষণা করছে চীন সরকার। তারা এমন উদ্ভাবন করতে চায় যেটির গতি হবে ঘণ্টায় ৪০০০ কিলোমিটার।

সম্প্রতি চীনে অনুষ্ঠিত তৃতীয় চীন বাণিজ্যিক মহাকাশযান শীর্ষ ফোরামে চীনের মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্পোরেশান (সিএএসসি) জানিয়েছে সংস্থাটি এমন ধরনের সুপার ফাস্ট ট্রেন নিয়ে গবেষণা করছে। এ গবেষণা প্রকল্পের কাজ চলছে উহান শহরের জাতীয় মহাকাশযান শিল্প পার্কে। তার মানে, এটা আশা করা যায় যে, ভবিষ্যতে চীনের প্রথম সুপার ফাস্ট ট্রেন এই উহান শহরে নির্মিত হবে।

প্রকল্পের দায়িত্বশীল ব্যক্তি মাও খাই বলেন, তারা চীনের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথে সুপার হাইস্পিড ট্রেন নিয়ে মতবিনিময় শুরু করেছেন। এ ধরনের ট্রেন নির্মিত হলে, তা হবে নতুন প্রজন্মের পরিবহনযান। সুপারসনিক গতিতে এ ট্রেন ছুটবে, তবে সেটা ঠিক আমাদের এখনকার ট্রেনের মতো না। এ ট্রেন লাইনের উপরে বা আরও সঠিকভাবে বললে, টিউবের মধ্য দিয়ে রীতিমতো উড়বে।

প্রস্তাবিত এই সুপার ফাস্ট ট্রেনের গতি হবে বর্তমান হাই স্পিড ট্রেনের ১০ গুণ এবং সাধারণ যাত্রীবাহী বিমানের ৫ গুণ! মাও খাই বলেন, এ ধরনের ট্রেন এমন এক পরিবেশে চলাচল করবে, যেখানে বাতাসের বাধা থাকবে না। এ ট্রেনের জন্য ম্যাগনেটিক লেভিটেশান প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ফলে এ ট্রেন ঘর্ষণজনিত বাধার সম্মুখীন হবে না। তাই এই ট্রেনে গতি হবে প্রচণ্ড।

 
চীনে ইতোমধ্যেই ট্রেন চলাচলে ম্যাগনেটিক লেভিটেশান প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে, নতুন ধরনের সুপার ফাস্ট ট্রেন চলবে পাইপের মধ্য দিয়ে, বায়ুশূন্য পরিবেশে। ১৯০৪ সালে মার্কিন বিজ্ঞানী রবার্ট গড্ডার্ড এমন ধারণা প্রথম পেশ করেন যে, বায়ুশূন্য পাইপের মধ্য দিয়ে ট্রেন প্রচণ্ড গতিতে চলতে পারে।

মাও খাই বলেন, মানুষ বড় স্বপ্ন দেখে এবং তা দেখা উচিত। আগে প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা ছিল। তাই বাস্তবে বায়ুশূন্য পাইপে ট্রেনলাইন নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এখন অর্থ, প্রযুক্তি, শ্রম, ও চাহিদা আর কোনো সমস্যা নয়। চীনের আছে সুপার ফাস্ট ট্রেন তৈরির সব উপাদান।

সুপার ফাস্ট ট্রেনের ওপর আবহাওয়ার কোনো বিরূপ প্রভাব পড়তে পারবে না। এ ট্রেনে কোনো জৈব জ্বালানিও লাগবে না। এ ট্রেন সাবওয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে।

বর্তমানে বিশ্বে তিনটি কোম্পানি ১০০০ কিলোমিটার/ঘন্টা বা তার চেয়ে বেশি গতির ট্রেন নিয়ে গবেষণা করছে। এগুলো হচ্ছে: যুক্তরাষ্ট্রের 'এইচটিটি' ও 'হাইড্রোলুপ ওয়ান' এবং চীনের একটি কোম্পানি।

(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/এজেড)