পাট নিয়ে মহাব্যস্ত ময়মনসিংহের চাষিরা

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:১১

মনোনেশ দাস, ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহে পাট চাষাবাদের যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৮৬৫ সালে। সেই পাট চাষের ধারাবাহিকতায় ১৫২ বছর কেটে গেছে। এ বছরও ১৩ উপজেলায় পাট নিয়ে কৃষকের ব্যস্ততা ছিল ঠিক আগের মতই। ক্ষেত থেকে তোলা পাট নদী-নালা, খালে-বিলে  পচিয়ে, রোদে শুকিয়ে ঘরে তুলেছেন আঁশ। সেই পাট এখন বিক্রি করছেন বাজারে চাষিরা। এখন এই পাট লুস থেকে বেল বানানো, সেই বেল ট্রাক এবং যানবাহনে রপ্তানি করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন শ্রমিকরা।

ইতিহাস বলছে, আজ থেকে ১৫২ বছর আগে অর্থাৎ ১৮৬৫ সালে ময়মনসিংহে শুরু হয় পাট চাষ। শুরুতে প্রাথমিক অথবা হাট নামে পরিচিত গ্রাম্য বাজার, মাধ্যমিক অথবা মফস্বল বাজারে, তৃতীয় পর্যায়ে কলকাতার বাজার। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সেই পাট সরকার কৃষকের বাড়ি সংলগ্ন এলাকা থেকে ক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে কিনে নিচ্ছে। যা পাট বাজারজাতকরণে কৃষকের উপকারে এসেছে। সরকারিভাবে পাট চাষে কৃষকের উদ্বুদ্ধকরণ, কৃষকের সার্বিক স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপগ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহে চলতি মৌসুমে কৃষকরা তাদের ক্ষেতে পাঁচ হাজার ছয়শ’ একষট্টি হেক্টরে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আবাদ করেন। উৎপাদন করেন ৫ হাজার দুইশ’ পঁচাশি হেক্টরে। ভালো উৎপাদনে খুশি কৃষক সেইসাথে খুশি কৃষি বিভাগও। এ জেলায় আগের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ আবাদ বেড়েছে পাটের এবং প্রতিবছর ক্রমাগত বাড়ছে পাট উৎপাদন।

পাটগুদামগুলোতে দেখা গেছে, সেখানে কর্মরত শ্রমিকদের ব্যস্ততা। শ্রমিকরা পাট ট্রাকে উঠিয়ে দিচ্ছেন রপ্তানির লক্ষ্যে পাঠানোর জন্য। এখানকার  সিংহভাগ পাট যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জে।

ময়মনসিংহ অঞ্চলের পাট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাহবুব হোসেন জানান, সরকারিভাবে পাট ক্রয়ে এ জেলায় ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।

পাটশ্রমিক হাছেন আলী, হুরমুজ ফরাজি, হাসিম, নজরুল জানান, সারাবছরের এই সময়টা কাটে মহাব্যস্তকায়। ট্রাকের লাইন লেগেই থাকে। গুদামে পাট সংরক্ষণ, বাছাই, বেল আর ট্রাক লোড দিতেই দিনের বেশির ভাগ সময় চলে যাচ্ছে। কাজের ব্যস্ততায় সময়ের অভাবে অনেক সময় খাওয়া- দাওয়াও ঠিক মতো করা হয় না।

(ঢাকাটাইমস/১৬সেপ্টেম্বর/ব্যুরো প্রধান/এলএ)