টঙ্গীতে সামাজিক বিচারে প্রতিপক্ষের হামলা, আহত ৩

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ২১:০৫

টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

গাজীপুরের টঙ্গীতে সামাজিক বিচারের মধ্যে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন জয়ের অফিসে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রসীরা মীর হোসেন নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করে। হামলায় ৪৯ নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক জহুরা বেগম ও তার স্বামী জহিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। তাদেরকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুমান দেওয়ানের বোন খাদিজা বেগম ও তার স্বামী মো. রাসেলের পারিবারিক বিবাদের বিষয়ে মীমাংসার জন্য জুয়েলসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশি বিচারে বসেছিল। সালিশি বিচারের এক পর্যায়ে জুয়েলের সঙ্গে আনোয়ার ওরফে কুট্টি (৩২), সোহেল ওরফে বেস্তি সোহেলের কথা কাটিকাটি হয়। এর কিছুক্ষণ পর কুট্টি আনোয়ার, বেস্তি সোহেল, মীর হোসেন, মনির, সুজন, আখতার, রাকিবসহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল পিস্তল, শর্টগান ও রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েলের অফিসে ও বাসায় হামলা চালায়। এসময় জুয়েলের বাবা জহিরুল ইসলাম, মা জহুরা বেগমকে মারধর ও বাড়ির আসবাপত্র ভাঙচুর করে নগদ ৬৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

এবিষয়ে ৪৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন জয় বলেন, ৪৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জলিল গাজীর ভাগিনা কুট্টি আনোয়ার বিচারের মধ্যে ফাঁকা গুলি করে তার দলবল নিয়ে আমাকে ও আমার বাবা-মাকে মারধর করে বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ টাকা লুটে নেয়।

এ ব্যপারে ৪৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জলিল গাজী বলেন, ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। তবে আমি যতটুকু জানি আমার ভাগিনা আনোয়ার ঘটনার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলো না। কেউ তাকে ফাঁসানোর জন্য এ কাজ করে থাকতে পারে।

টঙ্গী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফিরোজ তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি সামাজিক বিচারের মধ্যে দু’পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/প্রতিনিধি/ইএস)