দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৪:৩৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ঈদের রেশ কাটতে না কাটতে দরজায় এসে কড়া নাড়ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে প্রতিমা তৈরির কাজ। এখন প্রতিমাগুলো রং করার কাজে ব্যস্ত প্রতিমাশিল্পীরা। তুলির আঁচড়ে সুন্দর করে তোলা হচ্ছে দুর্গা, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী, লক্ষ্মী ও মহিষাসুরের প্রতিমা।

আর সপ্তাহখানেক পরেই মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গাপূজা। কিন্তু এর আগেই আজ মঙ্গলবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয় মহালয়ার মধ্য দিয়ে। দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা শুরু হয় এই মহালয়া থেকে।

আনুষ্ঠানিকভাবে পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে দুর্গাপূজার সূচনা করা হয়। দেবী দুর্গার আগমনীর এই আয়োজনের নাম মহালয়া।

রাজধানীর বিভিন্ন পূজামণ্ডপে আজ ভোর থেকেই পূজা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। আজ সকাল ৬টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে চণ্ডীপাঠ, ভক্তিমূলক গান ও নাচের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহালয়ার অনুষ্ঠান।

দুপুর ১২টায় মহালয়ার ঘট স্থাপনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দুর্গাপূজা। নিজেদের প্রধান ধর্মীয় এ উৎসবকে ঘিরে এখন আনন্দে উদ্বেলিত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন। ঢাকেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গণে সকাল থেকেই মহালয়ায় যোগ দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পুরোহিত রণজিৎ চক্রবর্ত্তী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আজ থেকেই শুরু হয়ে গেল দেবী দুর্গার আগমন। দুর্গাপূজার সূচনা হলো। মহালয়ার পর থেকে ১৫ দিন হচ্ছে দেবীপক্ষ। মহালয়ার মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের শুরু হয় আর পিতৃপক্ষের অবসান হয়।’

ঢাকেশ্বরীতে এবার নতুন ভবনে পূজা হবে। ২১ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হবে নবনির্মিত এই মন্দির ভবন। মন্দিরে লাগানো অনুষ্ঠান সূচিতে দেখা যায়, ২৬ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে মর্তে আগমন ঘটবে দেবী দুর্গার। ২৭ সেপ্টেম্বর মহাসপ্তমী পূজা এবং এর পরদিন মহাঅষ্টমী ও সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হবে। ২৯ সেপ্টেম্বর মহানবমী পূজায় আরতি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন পূজা কমিটি। ৩০ সেপ্টেম্বর বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ঢাকশ্বেরী মন্দিরে প্রতিবছর চিরাচরিত নিয়ম মেনেই তৈরি করা হয় দুর্গা প্রতিমা। এই প্রতিমা নির্মাণ করেন সুকুমার পাল আর পূজায় পুরোহিতের দায়িত্ব পালন করেন রণজিৎ চক্রবর্ত্তী।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/এনআই/জেবি)