প্রাণের বন্ধু ভারত কোথায়, সরকারকে রিজভী

প্রকাশ | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৫:০৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

লাগামহীন চালের মূল্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এই দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ করবে কে?’ তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, ‘আজ কোথায় আপনাদের প্রাণের বন্ধু ভারত? এই খাদ্য সংকটের দিনে ভারত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে এই মুহূর্তে চাল রপ্তানি করবে না। এই হলো বন্ধুত্বের পরিচয়।’

মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও সু চি বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, নির্যাতন, নিপীড়ন, দেশান্তরে বাধ্য করার প্রতিবাদে ও নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়ার দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।

রিজভী বলেন, ‘দেশে চালের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, সরকারি গোডাউনে চাল নেই। চালের বদলে সেখানে ইঁদুর খেলা করছে। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। এই দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধ করবে কে?’

এদিকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনকারী দেশ মিয়ানমার থেকে চাল কিনে সরকার ঘাতকদের উৎসাহিত করেছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘সরকারের এই আচরণে ঘাতকরা উৎসাহ পাচ্ছে ও আরও নৃশংস হয়ে উঠছে।’

মিয়ানমার থেকে এক লাখ মেট্রিকটন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। প্রতি মেট্রিক টনের দাম পড়বে ৪৪২ ডলার।

রিজভী বলেন, ‘নাফ নদীর পানি আজ পানির রং নেই। নাফের পানি আজ রোহিঙ্গাদের রক্তের রং। আর সেই রক্তের ওপর দিয়ে লজ্জাজনকভাবে মিয়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানি করছে সরকার। মিয়ানমারের বর্বর সেনাবাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের হত্যার এভাবেই প্রতিদান দিচ্ছে ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ওপর যে বর্বরতা চলছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। সেখানে বিচিত্র রকমের হত্যাযজ্ঞ চলছে। মহামতি গৌতম বুদ্ধের অনুসারীরা এত বীভৎস, কসাই হতে পারে সেটা ভাবা যায় না।’

রিজভী অবিলম্বে রোহিঙ্গাদের ওপর  হত্যাযজ্ঞ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন,  ‘রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতেই হবে। তাদের জানমালের নিরাপত্তা দিয়েই ফিরিয়ে নিতে হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘জ্বি হুজুর জ্বি হুজুর করে এই রোহিঙ্গা সংকট সমাধান সম্ভব নয়।’

মানববন্ধনে বিএনপিপন্থি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সমস্যরা অংশ নেন।

(ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/বিইউ/জেবি)