জেলে ‘ধর্ষক বাবা’র প্রতিদিনের আয় ২০ টাকা

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১০:০৪

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

হাজার কোটি টাকার মালিক রামরহিমের দিনে রোজগার এখন মাত্র ২০ টাকা। ভারতের হরিয়ানার সুনারিয়া জেলে বসে এখন সবজি চাষ করেন তিনি। জেলকর্মীরা জানিয়েছেন, দিনে আট ঘণ্টা কাজ করতে হয় তাকে।

২৮ অগস্ট আশ্রমের দুই সাধ্বীকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের সাজা ঘোষণা করে হরিয়ানা আদালত।  ৫০ বছরের স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামরহিম জেলে আসার পর থেকে শুধু কাঁদতেন আর হানিপ্রীতের সঙ্গে কথা বলতে চাইতেন। বেশ কয়েকবার কাউন্সিলিং করা হয়েছে তার।

এখন  তার সেলের সামনে ৯০০ স্কোয়ার ইয়াডের একটি জমিতে সবজি চাষ করেন তিনি।

হরিয়ানার সংশোধনাগারের ডিজি কে পি সিং জানিয়েছেন, সারাদিন জমিতে চাষ করে ও গাছের কাটিং করে সময় কাটান তিনি। তার পারিশ্রমিক হিসেবে তাকে দেয়া হয় দিনে ২০ টাকা। সারাদিন প্রচণ্ড নিয়মানুবর্তীতার সঙ্গে কাটাতে হয় তাকে। কোনো রকম বিশেষ সুবিধা দেয়া হয় না রাম রহিমকে। তার সেলে একটি টেলিভিশন সেটও নেই। তবে নিরাপত্তার কারণে অন্যন্য কয়েদিদের সংস্পর্শে আসতে দেয়া হয় না তাকে। পরিচিতদের সঙ্গে কথা বলার জন্য দুটি টেলিফোন নম্বর দেয়া হয়েছে তাকে। সেখান থেকে ফোন করতে পারেন তিনি। তবে যাকে ফোন করবেন তার নম্বর আগে পুলিশ ভেরিভিকেশন করা হয়। বারবার তিনি হানিপ্রীতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও সেটা করতে দেয়া হয়নি। একমাত্র রক্তের সম্পর্কের কাউকেই টেলিফোনে তিনি যোগাযোগ করতে পারেন বলে জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

রামরহিমের দেয়া ১০ জনের তালিকা মেনেই জেলে সাক্ষাতের অনুমতি মেলে। তবে তার আগে সাক্ষাৎপ্রার্থী ১০ জনেরই পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়।

জেলে রামরহিমের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে দুই জোড়া হাওয়াই চটি ও দুটি বই। অথচ ডেরায় রামরহিমের শতাধিক জুতা, জামা, টুপি ছিল। সূত্র: ওয়েবসাইট

(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/জেবি)