‘চট্টগ্রাম বন্দর ভবিষ্যতে শীর্ষ দশে থাকবে’

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৯:৪৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস

চট্টগ্রাম বন্দরকে দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে উল্লেখ করে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আবদুস সামাদ বলেছেন, এ বন্দর উত্তরোত্তর সাফল্য অর্জন করছে। ভবিষ্যতে এটি বিশ্বের শীর্ষ দশে উঠে আসবে।
আজ শনিবার সকালে বন্দর প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম খালেদ ইকবাল মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রধান অতিথি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে যে দক্ষতা ও সাফল্য অর্জিত হয়েছে তার স্বীকৃতি হিসেবে বিশ্বখ্যাত সাময়িকী লয়েড-এর সনদ পেয়েছে। আগের অবস্থান থেকে ২৭ ধাপ এগিয়েছে এ বন্দর। ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

এ সাফল্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর প্রশাসনের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি বার্থ অপারেটর, শ্রমিক-কর্মচারীদের শ্রম, মেধা, দক্ষতা এবং প্রচেষ্টার সুফল বলে বর্ণনা করেন ভারপ্রাপ্ত সচিব। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি আগামী দিনে বন্দরের অবস্থান হবে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বন্দরের মধ্যে। এর জন্য প্রয়োজন পণ্য হ্যান্ডলিং কাজের গুণগত মান অক্ষুণœœ রাখা।’

এ সময় তিনি বন্দর কর্তৃপক্ষের জেনারেল কার্গো বার্থের অপারেটর নিয়োগের দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘এগুলোতে অংশগ্রহণের জন্য যোগ্যতার যেসব শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো অতীতের একই নিয়মে করা হয়েছে। আমরা মনে করি, হ্যাল্ডলিং কাজের গুণগত মানের উৎকর্ষ সাধনের জন্য আরও কঠোর শর্ত আরোপ করা প্রয়োজন ছিল। সেটা হলে বার্থ অপারেটেরদের কর্মদক্ষতা আরও বৃদ্ধি পেত।’

ভারপ্রাপ্ত সচিব আগামী দিনে দরপত্রের শর্ত প্রণয়নের সময় কঠোর শর্ত আরোপ করার তাগিদ দেন যাতে যোগ্য অপারেটররাই কাজের সুযোগ পান। সেটা যেকোনো পরিস্থিতিতে বন্দর কার্যক্রম সচল রাখতে সহায়ক হবে।
চট্টগ্রাম চেম্বার, বিজিএমইএ, বিকডা, শিপিং এজেন্টসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩সেপ্টেম্বর/মোআ)