জঙ্গিবাদে অর্থায়ন: ১১ জনের রিমান্ড শুনানি সোমবার

প্রকাশ | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৭:৫৫ | আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ১৮:২২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জঙ্গিবাদে অর্থায়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১১ জনের রিমান্ড শুনানির দিন সোমবার ধার্য করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

রবিবার মামলার তদন্তকারী কর্তকর্তা রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে কেস ডকেট না পাঠানোয় ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী এই আদেশ দেন।

কারাগারে পাঠানো অপর দশ আসামিরা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজার নাহিদুদ্দোজা মিঞা ওরফে নাহিদসহ (৩২) হেলাল উদ্দিন (২৯), আল আমিন (২৩), ফয়সাল ওরফে তুহিন (৩৭), মঈন খান (৩৩), আমজাদ হোসেন (৩৪), তাজুল ইসলাম (২৭), জাহেদুল্লাহ (২৯), আল-মামুন (২০), আল-আমিন (২৩) ও টলি নাথ (৪০)।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রূপনগর থানার ইন্সপেক্টর মো. ইলিয়াস আসামীদের আদালতে হাজির করে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় এই রিমান্ড আবেদন করা হয়।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর ভোরে ঢাকা, রাজশাহী ও খুলনার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৪ এর অপারেশন দল। ওই সময় তাদের কাছ থেকে ১১টি ল্যাপটপ, ১২টি মোবাইল, হটি কার্ড পাঞ্চিং মেশিন, পাসপোর্ট, ভোটার আইডিসহ বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খানের দাবি ‘স্পেনের আইটি কোম্পানি সিনটেক ও বাংলাদেশের ওয়াইমি একই মালিকের প্রতিষ্ঠান। মালিকের নাম আতাউল হক সবুজ। তিনি স্পেনে বসবাস করেন। তার কোম্পানি সিনটেকের মাধ্যমে ওয়াইমি অর্থ পাঠাতো। যার ৪৭ শতাংশ বেতন ও অবকাঠামোগত কাজে ব্যয় হতো। বাকিটা জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ব্যয় হতো।’ আসামিদের মধ্যে সাতজন ওয়াইমির ও বাকিরা অন্য প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। একই মালিকের দুই প্রতিষ্ঠানে স্পেন ও বাংলাদেশে দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একইসঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে। স্পেনে আতাউল হক সবুজকেও আটক করা হয়েছে। সবুজ ২০১৫ সালে ১০ ডিসেম্বর সিরিয়ায় বোম্বিংয়ে নিহত জঙ্গি শিপুল হকের ভাই। বিদেশ থেকে জঙ্গি অর্থায়ন আনার কাজ শুরুতে শিপলু করতো। তার মালিকানায় আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার কোম্পানি ছিল ‘আইবেক’। বাংলাদেশসহ বিশ্বের নয়টি দেশে তার শাখা ছিল। আইবেকের প্রধান কার্যালয় ছিল আমেরিকায়। ২০১৫ সালের ৪ ডিসেম্বর আইবেকের ৫০ হাজার ডলার জঙ্গি অর্থায়নের কাজে ব্যবহারের আগেই র‌্যাবের হাতে আটক হয়। যা জঙ্গি বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেটের মাধ্যমে তামীম চৌধুরীর কাছে পৌঁছানোর কথা ছিল। জঙ্গি অর্থায়নে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশে ২০১৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে আইবেক শাখা বন্ধ করে দেয়া হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের শাখাও বন্ধ করে দেয় সে দেশের কর্তৃপক্ষ।

(ঢাকাটাইমস/২৪সেপ্টেম্বর/আরজেড/জেবি)