বিসিবির কার্যক্রম নিয়ে অনেক প্রশ্ন সাবেরের

প্রকাশ | ০১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২৪ | আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:২৭

ক্রীড়া প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রবিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ ও বিশেষ সভা। ওই সভা এবং বিসিবির ইচ্ছামতো সংশোধিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচন যাতে না হয় তার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছেন সাবেক বিসিবি সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। এরআগে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছিলেন এ ব্যাপারে। কিন্তু সাবের চৌধুরীর কথা কানে তুলেনি বিসিবি বর্তমান সভাপতি।শনিবার ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে বর্তমান সভাপতি পাপনের কমিটির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে বসলেন সাবের। করলেন নানা অভিযোগ।

বার্ষিক সাধারণ সভার বৈধতা নেই দাবি করেন তিনি। সেই সঙ্গে ওই সভা বয়কটেরও ঘোষণা  দেন সাবের। বতর্মান কমিটির বিরুদ্ধে তিনি সমালোচনা মুখর ছিলেন পুরো সংবাদ সম্মেলন জুড়ে।

ক্রিকেট প্রশাসন কোন পথে?’ এই শিরোনামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাবের হোসেন চৌধুরী কথা বলেন বিসিবির গঠনতন্ত্র নিয়ে। তিনি বলেন, ‘যে গঠনতন্ত্রকে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট অবৈধ বলেছেন, সেই গঠনতন্ত্রের অধীনে যদি কোনো প্রক্রিয়া হয়, তাহলে সেটার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। আমার কাছে মনে হয়েছে, আমি আর কাউন্সিলর হওয়ার যোগ্য নই। আমি বোর্ডকে চিঠি দিয়ে বলেছি, আমার নামটা সরিয়ে নিতে চাই। গঠনতন্ত্র অবৈধ হলে সেটির অধীনে হওয়া কাজগুলোর বৈধতা থাকে না।’

সাবের বলেন, ‘বর্তমান বোর্ড কি মনে করে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে বর্তমানে ওনারা যে গঠনতন্ত্র নিয়ে কাজ করছেন, সেটা বৈধ? এখানে একটি পরিষ্কার জবাব থাকতে হবে, হ্যাঁ এই গঠনতন্ত্র বৈধ এবং আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু আমি মনে করি, আদালতের রায় বলে এটা বৈধ নয়। এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া মানে আদালত অবমাননা।’

বিসিবি সরকারের প্রভাবমুক্ত থাকা উচিৎ বলে মনে করেন সাবের। জানান, আদালতও সেটা বলছে। সাবেক বোর্ড সভাপতি বলেন, বোর্ড পরিচালনায় সরকারি কোনো প্রভাব থাকবে না বলেছেন আদালত। কিন্তু জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বোর্ড এর বিরুদ্ধে আপিল করল। এই বোর্ডের অবস্থান হলো, ক্রিকেট বোর্ড স্বাধীনভাবে চলবে না এবং সেখানে এনএসসিরও বক্তব্য থাকবে। এটাই হচ্ছে মৌলিক বিষয়। ‘ওনারা কী চান? প্রভাবযুক্ত না প্রভাবমুক্ত ক্রিকেট প্রশাসন? ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে চলবে? ২০০০ সালেই এজিএম করে আমরা বলেছি, প্রভাবমুক্ত হয়েই চলবে।’এক্ষেত্রে ফিফার উদাহরণও টানেন তিনি।

ঢাকার কিছু ক্লাবকে দুটি করে কাউন্সিলরশিপ দেওয়ার সমালোচনা করেন। সঙ্গে যোগ করেন, জেলা কাউন্সিলর মনোনয়ন দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক। জেলা প্রশাসক হলেন সরকারি লোক। এভাবে বোর্ড স্বাধীনভাবে চলতে পারে না বলেও অভিমত তাঁর।

সাবের চৌধুরী কথা বলার পরপরই হোটেল লবিতে বোর্ডের সহসভাপতি মাহবুব আনাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। মাহবুব আনাম বলেন, ‘আদালত যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, সেটা যুগান্তকারী। সে অনুযায়ীই কার্যক্রম চলবে। আদালত রায়ে বলেছেন, বর্তমান বোর্ড যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে, সেভাবেই হচ্ছে। রায় পুরোটা না পড়ে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। বোর্ডকে প্রভামুক্ত হতে যা করা দরকার, সেই পরিবর্তন আমরা ইজিএমে আনব।’

(ঢাকাটাইমস/১অক্টোবর/ডিএইচ)