রোহিঙ্গারা ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক’

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৩:৫৬ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা এখন থেকে ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক’ হিসেবে পরিচিত হবেন।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণসচিব মো. শাহ কামাল। সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গারা এখন থেকে ‘বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক’ হিসেবে পরিচিত হবেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাদের চিঠি দিয়ে এটা জানিয়েছে। আমরা এখন থেকে এটাই ব্যবহার করব।’

জাতিগত নিপীড়নে পালিয়ে আসা মিয়ানমারের কয়েক লাখ রোহিঙ্গা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে বসবাস করছেন। গত আগস্ট মাসের শেষ দিকে মিয়ানমার সীমান্তে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে আবারও রোহিঙ্গাদের ওপর অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও রাখাইন সন্ত্রাসীরা। অভিযানের নামে তারা শত শত রোহিঙ্গাকে হত্যা করে। অভিযানের পর প্রাণ বাঁচিয়ে এখন পর্যন্ত নতুন করে পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, গত ২৫ আগস্ট থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা পাঁচ লক্ষাধিক। বাংলাদেশ সরকার আশ্রয় নেয়া এসব রোহিঙ্গাদের সব ধরনের মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের ‘স্ট্যাটাস’ নিয়ে সংশয় ছিল। রোহিঙ্গাদের আপাতত ‘শরণার্থী’ মর্যাদা দেয়া হবে না বলেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে অস্থায়ীভাবে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে রোহিঙ্গাদের একই স্থানে রাখতে অন্যান্য সব ক্যাম্প বন্ধ করে দেয়া হবে বলেও জানান ত্রাণমন্ত্রী।

মায়া বলেন, ‘পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের কুতুপালং ক্যাম্পে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ক্যাম্পের ভেতরে নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা, খাদ্য সরবরাহ, স্যানিটেশন, রেজিস্ট্রেশন ও চিকিৎসা দেয়াসহ সব কাজ সুচারুভাবে করার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কুতুপালং ক্যাম্পের বাইরে যেসব ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা থাকছেন ক্রমান্বয়ে তা গুটিয়ে আনা হবে। ইতোমধ্যে ক্যাম্পের বাইরে পাহাড়ি এলাকায় ও অন্যান্য স্থানে যেসব রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে। গত ৩ অক্টোবর বান্দরবানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।’

ঢাকাটাইমস/৫অক্টোবর/এমএম/এমআর