ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১৯ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ড

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৭, ২০:২৬

ব্রাহ্মণবাড়িযা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮ নারীসহ ১৯ জনকে সাজা দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। রবিবার দুপুরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিরুল কায়সার এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। 

এর আগে শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত পুলিশ দুর্গাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৮ নারীসহ ১৯ জনকে আটক করে।

এদের মধ্যে ১৭ জনকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড, এছাড়াও বাকি দুজনকে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের শিপা, রুবিনা, সাজেদা, আয়েশা বেগম, তৈয়বা খাতুন, মনোয়ারা বেগম, আকলিমা, মিনা বেগম, নাছিমা, সুহেদা বেগম, নীলুফা বেগম, মমতাজ বেগম, মমোতাজ বেগম, তহুরা বেগম, ফরিদা বেগম, নীলুফা বেগম, হাবিব, জেলার সদর উপজেলার সুহলপুরের বিউটি ও আশুগঞ্জ চরচারতলা এলাকার তাহমিনা বেগম। এদের মধ্যে তৈয়বা খাতুন ও ফরিদা বেগমকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তাহমিনা বেগমকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমিরুল কায়ছার ১৯ জনকে সাজা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

প্রসঙ্গত, পূর্ববিরোধের জের ধরে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের নজরহাটি এলাকার সাবেক মেম্বার মনু মিয়া ও একই এলাকার মগল মিয়ার পক্ষের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার দুপুরে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে নেমে পড়ে। এসময় হামলাকারীরা মনু মিয়া মেম্বারের দুটি বসত ঘরে আগুন এবং তার পক্ষের লোকজনের অন্তত ৮টি ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। আগুনে মনু মিয়ার দুটি ঘর পুড়ে যায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে আশুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

(ঢাকাটাইমস/৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)