ফেনীতে স্টুডিওতে ছাত্রী ধর্ষণ: মালিক ও কর্মচারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৩৪

ফেনী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নে শিশু ধর্ষণের ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বক্সমাহমুদ বাজারে সৌদিয়া মার্কেটের একটি স্টুডিওর দোকানে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার বিকালে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে পাঠানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- দোকান মালিক আবদুল মোতালেব শাহেদ ও তার কর্মচারী একরাম হোসেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয় পড়–য়া ওই ছাত্রী সোমবার সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে সৌদিয়া মার্কেটের নিচ তলায় সাহেদ ডিজিটাল স্টুডিও যায়। সেখানে গেলে কর্মচারীর একরামের সহায়তায় দোকান বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করে আবদুল মোতালেব শাহেদ। পরে নির্যাতিতার চিৎকার শুনে আশপাশের দোকানের লোকজন এগিয়ে গিয়ে এসে শাহেদকে আটক করে পরশুরাম মডেল থানায় খবর দেন। উপপরিদর্শক (এসআই) শফিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষক শাহেদকে আটক করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মামা এয়াকুব আলী বাদী হয়ে ধর্ষক শাহেদ ও ধর্ষণে সহায়তাকারি একরাম হোসেনকে আসাসি করে মামলা দায়ের করেন। শাহেদ বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের উত্তর কেতরাঙ্গা গ্রামের এয়ার আহম্মদের ছেলে।
এদিকে মঙ্গলবার ফেনীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। বিকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেনের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়।

পরশুরাম মডেল থানার এসআই শফিক জানান, নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা ও আদালতে জবানবন্দি নেয়া হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে শুক্রবার দিনদুপুরে বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের খন্ডলকালী বাজারের পূর্বপাশে নিজ বাসায় ডেকে নিয়ে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

(ঢাকাটাইমস/১০অক্টোবর/প্রতিনিধি/ইএস)