খালেদা জিয়াকে ভয় দেখাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা: রিজভী

প্রকাশ | ১৩ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া যাতে ভয় পেয়ে দেশে না আসেন, সে জন্য তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। তিনি বলেন, `বিএনপি নেত্রী আপোষহীন। তাকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে দেশে ফিরে আসা থেকে বিরত রাখা যাবে না।‘

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে রিজভী এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মালায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।

গত বৃহস্পতিবার যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেয়ার অভিযোগে করা মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ঢাকা মহানগর হাকিম নুরনবী। একইদিনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করতে পরোয়ানা জারি করে বকশিবাজারে আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামানের আদালত।

রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়া আপোষহীন নেত্রী, তিনি অবশ্যই দেশে ফিরে আসবেন এবং তার নেতৃত্বে বিশদলীয় জোটের নেতাকর্মীরা আন্দোলন করে এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে।’

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাকে বন্দুকের নল ধরে ছুটি নিতে বাধ্য করা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে টার্গেট করে ধ্বংস করছে। নিজের খবরদারী, নিজের কর্তৃত্বকে নিরঙ্কুশ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের মতো একটি আদালতকে তিনি তার প্রতিপক্ষ মনে করলেন। ষোড়শ সংশোধনীর রায় বাতিলের পরিপ্রেক্ষিতে, কয়েকটা অবজারভেশন, আওয়ামী লীগ এবং তাদের সরকার প্রধান মনে করলেন ওরে বাপরে, এটাতো সাংঘাতিক বিষয়’।

পার্লামেন্টে প্রধান বিচারপতিকে গালাগালি করা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও দেশের প্রধান বিচারপতিকে এতো নোংরা এবং এতো কুশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে পারে এটার কোনো নজির নেই। সেই নজিরও আওয়ামী লীগ তৈরি করেছে। ’

রিজভী বলেন, ‘আমরা দেখলাম প্রধান বিচারপতি কিছুদিন আগে ছুটি কাটিয়ে দেশে এসে উনার কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন, আবার উনি নাকি ছুটি নিয়েছেন। প্রধান বিচারপতি নিজেই নিজের ছুটি নিতে পারেন। ছুটি নিলেতো আগেই নিতে পারতেন। গ্রীষ্মকালীন ছুটি নিয়ে তিনি যখন কানাডা, জাপান গেলেন তখনই নিতে পারতেন। এটাও কি জনগণের জানতে বাকি আছে, যে উনি ছুটি নিয়েছেন না তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নেয়া হয়েছে।’

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও মহিলা দলের নেত্রী হেলেন জেরিন খান প্রমুখ।

ঢাকাটাইমস/১৩অক্টোবর/জিএম/এমএম