মিয়ানমার ছেড়ে পালাতে হয়েছিল কারেন গোষ্ঠীকেও

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:৫২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় 'সশস্ত্র গেরিলা' সংগঠন কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন(কেএনইউ) বলছে যে রাখাইনের সংঘাত তাদেরকে সামরিক জান্তা আমলের অভিজ্ঞতার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। খবর বিবিসির।

কারেন রোহিঙ্গাদের মতোই বার্মার আরেকটি জনগোষ্ঠী। এখন রাখাইনে যা ঘটছে, তার সঙ্গে তারা তাদের সঙ্গে যা ঘটেছিল তার মিল দেখতে পাচ্ছে।

রাখাইনে গত ২৫ আগস্টের পর থেকে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চালানো অভিযানের সময় ঘটা ভয়াবহ নির্যাতন নিপীড়নের কারণে প্রাণভয়ে ৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

কেএনইউ বলছে, 'বার্মা আমলে'র ফোর-কাট পলিসির আওতায় সামরিক অভিযানে দুই লাখেরও বেশি কারেনকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে শরণার্থী হতে হয়েছিল।

ফোর-কাট পলিসি হলো সে সময়ের বার্মার সামরিক জান্তা সরকারের একটি নীতি, যেটি কারেনদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা হয়েছিল।

এর মানে হলো চারটি জিনিস থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা - খাবার, তথ্য, ভবিষ্যতের জন্য প্রতিরোধ যোদ্ধা নিয়োগ ও সম্পদসমূহ।

এগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন করার ফলে কারেন এলাকাগুলোর গ্রামবাসীদের এমনিতেই জীবন বাঁচানোর জন্য পালিয়ে যেতে হয়।

মূলত ৭০-এর দশকে তৎকালীন বার্মার সামরিক বাহিনী এ নীতি তৈরি করে যার লক্ষ্য ছিল খাদ্য, সম্পদ বা অর্থ, তথ্য ও নতুন যোদ্ধা রিক্রুটর পথ যেভাবেই হোক বন্ধ করার মাধ্যমে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে গড়ে উঠা সশস্ত্র মিলিশিয়াদের দমন করা।

আরও বেশ কিছু নৃগোষ্ঠীর মতো কারেনদের সঙ্গে বার্মার সেনাবাহিনীর লড়াই চলেছে অনেকদিন। পরে ১৯৮৯ সালে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও এ সংঘাত পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনি মিয়ানমার।

অবশ্য কেএনইউ বলছে তারা কারেন জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী একটি গণতান্ত্রিক সংগঠন।

কেএনইউ'র বিবৃতিতে বলা হচ্ছে সহিংস আচরণ থেকে বিরত থাকার জন্য মিয়ানমারের সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ‘যেভাবে উত্তর রাখাইনের সংঘাত মোকাবেলা করা হচ্ছে সেটি কারেনদের ওপর ফোর-কাট নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের আগ্রাসী সামরিক কায়দায় অভিযানকেই মনে করিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে দু'লাখ কারেনকে বাস্তুচ্যুত ও দেড় লাখ কারেনকে শরণার্থী হতে হয়েছিল।’

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/এসআই)