ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় জাবির রোভার স্কাউট

প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০১৭, ২২:৩১

জাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিচ্ছুদের সহযোগিতায় একাগ্রতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন জাবি শাখা রোভার স্কাউট ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর’র (বিএনসিসি) সদস্যরা।

শনিবার ‘এ’ ইউনিটের (গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার মধ্যদিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দশ দিনব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। এবারে ভর্তি পরীক্ষায় তিন লাখ ১৭ হাজার ৫৪০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এই বিশালসংখ্যক শিক্ষার্থীদের শৃঙ্খলায় রাখার দায়িত্ব পড়েছে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যদের উপর।

জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করার লক্ষ্য সামনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় ও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের স্বার্থে বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরা প্রতিদিন টানা ১১ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ৩০ জন করে মোট ৬০ জন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্যরা সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ সেবা দিচ্ছেন। পরীক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো, পরীক্ষার হলের নিয়মাবলী বলে দেয়া, নির্দিষ্ট কক্ষ খুঁজে পেতে সহায়তা করাসহ সকল প্রকার সহযোগিতা করে থাকেন রোভার স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরা।

পরীক্ষা কেন্দ্রের মধ্যে সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ, বিজনেজ স্টাডিজ অনুষদ, পাবলিক হেলথ ভবন ও পুরনো কলা ভবনে দায়িত্ব পালন করছেন বিএনসিসি ক্যাডেটরা।

অন্যদিকে নতুন কলা ও মানবিক অনুষদ, সিএসই ভবন, রসায়ন ভবন, পদার্থবিজ্ঞান ভবন, মাইক্রোবায়োলজি ভবন ও ফার্মেসি ভবনে দায়িত্ব পালন করছেন রোভার স্কাউট সদস্যরা।

রোভার স্কাউটের সিনিয়র রোভার মেট নওশাদ নাবিল বলেন, আমাদের কাজ মানুষের উপকার করা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একটি অপরিচিত জায়গায় এসে পরীক্ষার্থীরা নানা ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হন। তাদের পরীক্ষার হল পর্যন্ত যেতে যাতে কোন সমস্যা না হয়, আমরা সবসময় সেই চেষ্টাই করি।

রোভার স্কাউটের এ.এস.আর.এম সাব্বির আহমেদ বলেন, স্কাউট সকলের বন্ধু। সে ধারাবাহিকতায় আমরা ভর্তিচ্ছুদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। 

বিএনসিসির ক্যাডেট সার্জেন্ট আনাস উদ্দিন অভি বলেন, মানুষের সেবা করার অভিপ্রায় নিয়ে বড় হয়েছি। জাবির বিএনসিসির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে সে কাজ আরও সহজ হয়েছে। ভর্তিচ্ছুদের সেবায় কাজ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)