দুর্নীতির মামলা কাল্পনিক, বানোয়াট: আদালতে খালেদা

প্রকাশ | ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ১২:৪৮ | আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৫:১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

হয়রানি করতেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘হয়রানি করতেই উদ্দেশ্যেমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে। যা পুরোপুরি কাল্পনিক ও বানোয়াট।’

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে অরফানেজ মামলার আত্মপক্ষ শুনানিতে এ কথা বলেন খালেদা।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

লিখিত বক্তব্যে খালেদা জিয়া জানান, তার বিরুদ্ধে করা মামলায় দুদক যে অভিযোগ এনেছে তা স্ববিরোধিতায় পরিপূর্ণ। এটি দুদকের আইনের কর্তৃত্ব ও আওতার বাইরে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘বিচারের নামে দীর্ঘদিন ধরে আমি হয়রানি পেরেশানি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছি। এতে আমার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিঘ্নিত হচ্ছে আমার রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম।’

আত্মপক্ষ সমর্থনের শুরুতে খালেদা বলেন, জিয়াউর রহামানের নামে এতিমখানা স্থাপনের জন্য বিদেশ থেকে যে অনুদান এসেছিল, তা এতিমখানার কল্যাণেই ব্যয় হয়েছে। ব্যয়র পর বাকি অংশ ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পয়সা গচ্ছিত রয়েছে। ব্যাংকের সুদ যুক্ত হয়ে সেই টাকা এখন অনেক বেড়েছে। একটি টাকাও তছরুপ বা অপচয় করা হয়নি।’

নিজেকে নির্দোষ দাবি করার পাশাপাশি খালেদা তার ছেলে মুদ্রা পাচার মামলায় সাত বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমানকেও নির্দেষ দাবি করেন।

এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করে দুই শর্তে জামিন পান খালেদা জিয়া। শর্ত দুটি হলো-এক লাখ টাকা বণ্ডে দুইজন আইনজীবীকে জামিনদার থাকতে হবে এবং বিদেশ যেতে চাইলে আগে থেকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে।

এরপরই তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য শুরু করেন। সোয়া ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আদালতে নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এক লাখ টাকার মুচলেকায় খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ দেন। তবে আদালত বলেছেন, মামলা চলাকালে ভবিষ্যতে বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এরপরই আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী বক্তব্য শুরু করেন।

ঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/বিইউ/এমআর