২৯ বছর আগে সমুদ্রে ফেলা চিঠি লেখিকার হাতে!

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০১৭, ২২:০২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

১৯৮৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মাত্র আট বছর বয়সের একটি ছোট্ট মেয়ে খেলার ছলে তার কচি হাতের লেখা একটি চিঠি বোতলে ভরে সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়েছিল। আট বছরের সেই মেয়েটির বয়স এখন ৩৭ বছর। দীর্ঘ ২৯ বছরের ব্যবধানে হয়তো তার সেই স্মৃতিটুকু মনেও থাকার কথা নয়। কিন্তু নিয়তির টানে তার কচি হাতের লেখা সেই চিঠিটা ২৯ বছর পর সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে লেখিকা মিরান্ডা চাভেজের হাতেই এসে পৌঁছেলো। লেখিকা নিজেও ভোলেননি তার সেই শৈশব স্মৃতি।

সাগরে ভাসিয়ে দেয়া সেই চিঠিটি সম্প্রতি লিন্ডা হাম্ফ্রি ও তার স্বামী ডেভিড দম্পতির হাতে পড়ে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ার সহায়তায় তারা চিঠিটির লেখিকা মিরান্ডাকে খোঁজ করতে শুরু করেন। এই দম্পতি জানান, ‘চিঠির নিচে লেখা নাম ঠিকানা দেখে লেখিকাকে শনাক্ত করেন তাঁরা। চিঠি পড়ে জানা যায়, আজ থেকে ২৯ বছর আগে দক্ষিণ ক্যারোলিনার এডিস্টো সৈকতের ধারে বেড়াতে গিয়েছিলেন মিরান্ডা। সেখানেই এই চিঠি লিখে বোতলে ভরে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেন তিনি। ঠিক ২৯ বছর পরে আমরা সেই চিঠি জর্জিয়ার স্যাপেলো দ্বীপ থেকে বোতলসহ উদ্ধার করি।’

ডেভিড বলেন, ‘চিঠির নাম ও ঠিকানা দেখে আমরা চিঠির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করি। মিরান্ডা যেহেতু তার চিঠিতে লেখা ঠিকানা বদলে ফেলেছিলেন, তাই আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার শরণাপন্ন হই এবং অনেক অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে পেয়ে যাই।’

শৈশবের সেই স্মৃতি এখনো ভুলেননি মিরান্ডা। ফেসবুকে নিজের লেখা চিঠি দেখ মাত্রই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। যোগাযোগ করেন, হাম্ফ্রি দম্পতির সাথে। এবং তাদেরকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি তিনি।

মিরান্ডা বলেন, ‘খুব ছোট ছোট কিছু বিষয়ও জীবনে ছাপ রেখে যায়। আমরা যতই এগিয়ে চলি না কেন, কিছু ছোট ঘটনা ফের শৈশবের স্মৃতিকে জীবন্ত করে দেয়। এই ঘটনা আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের মুহূর্তগুলোর মধ্যে একটি।’

বোতলে ভরে সমুদ্রে ভাসিয়ে দেয়া শৈশবে লেখা সেই চিঠির বদৌলতে ২৯ বছর পর নতুন দু’জন বন্ধুও পেয়ে গেলেন মিরান্ডা।

(ঢাকাটাইমস/২১অক্টোবর/এএকে/জেবি)