সংলাপ নিয়ে ইসির সংবাদ সম্মেলন বৃহস্পতিবার

প্রকাশ | ২৪ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

সংলাপে উঠে আসা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় নির্বাচন কমিশন ভবনে হবে এ সংবাদ সম্মেলন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন সংস্কার, সীমানা পুনঃনির্ধারণসহ ঘোষিত রোডম্যাপ নিয়ে কেএম নুরুল হুদা নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেয়। গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার মধ্যে দিয়ে সংলাপ শুরু করে ইসি। ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। এরপর ২৪ আগস্ট থেকে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন, যা শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। এরপর ২২ অক্টোবর পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রধান ও ২৩ অক্টোবর নারী নেত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ইসি। আজ নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ইসির রোডম্যাপ অনুযায়ী সংলাপ।

ইসির যুগ্মসচিব (চলতি দায়িত্ব) ও জনসংযোগ পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান জানান, সংলাপের পাওয়া বিভিন্ন প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে আগামী বৃহস্পতিবার। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে বেলা ১১টায়।

ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ আজ নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংলাপের শুরুতে বলেন, এপর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কাছে অনেক প্রস্তাব এসেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, সব দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা, সবার সঙ্গে কথা বলে নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা করা, নির্বাচনের সময় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলোকে কমিশনের অধীনস্থ করা, নির্বাচনের আগে ও পরে সন্ত্রাস দমনের ব্যবস্থা করা, একই মঞ্চে নির্বাচন প্রচারনার ব্যবস্থা করা, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা, নিবন্ধিত দলগুলোর পরামর্শ নিয়ে একটি জাতীয় ফোরাম করা, সেনাবাহিনী মোতায়েনে পক্ষে বিপক্ষে মত এসেছে, ইভিএম ব্যবহার করার পক্ষে বিপক্ষে, সীমানা পুনঃনির্ধারণ করার পক্ষে বিপক্ষে মত এসেছে, প্রবাসীদের ভোটাধিকার দেয়ার সুযোগ দেয়া, ‘না’ ভোটের বিধান চালু করা, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া, নির্বাচনী সব আইন বাংলায় করা, সংরক্ষিত নারী আসন বৃদ্ধি করাসহ বিভিন্ন প্রস্তাব পেয়েছি।

ইসি ভারপ্রাপ্ত সচিব বলেন, সংলাপের পাওয়া বিভিন্ন প্রস্তাবগুলো কমপাইল করে একটি বই আকারে বানানো হবে। যেগুলো নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত সেগুলো ইসি বিবেচনা করতে পারে। বাকিগুলো কমিশন দেখবে এগুলো কী করা যেতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/২৪অক্টোবর/জেআর/জেবি)