চাচির অনৈতিক কাজ দেখে ফেলায় আজিজাকে পুড়িয়ে হত্যা?

প্রকাশ | ৩০ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:১১ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৭, ১৮:২০

নরসিংদী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নরসিংদীতে মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে স্কুলছাত্রী আজিজাকে পুড়িয়ে হত্যা করলেও পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ভিন্ন কারণ। চাচি বিউটি বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার তমুজা বেগম পুলিশকে জানিয়েছেন এ তথ্য।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম সোমবার সকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তমুজাকে আদালতে সোপর্দ করেন। আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে পুলিশি হেফাজতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। তমুজাকে রবিবার বিকালে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

শিবপুর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান জানান, কিশোরী আজিজাকে (১৩) মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে হত্যার কারণ দেখিয়ে আজিজার পিতা আবদুছ ছাত্তার মামলা করলেও তদন্তে ভিন্নতা প্রকাশ পায়। তদন্তে জানা যায়, মোবাইল চুরি নয়, চাচি বিউটি বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক ও অনৈতিক কার্যকলাপ দেখে ফেলার জের হিসেবে আজিজাকে হত্যা করা হয়েছে।

তমুজা বেগম গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশের কাছে এ ঘটনার কথা স্বীকার করেন বলে দাবি পুলিশের। তমুজা এ ঘটনার জন্য বিউটি বেগম ও তার আত্বীয়-স্বজনদের দায়ী করেন। বিউটি বেগম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।

শিবপুর সার্কেলের জ্যৈষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার রেজোয়ান আহমেদ জানান, মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তমুজা নামে এক আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার ও ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। স্বল্প সময়ের মধ্যেই সব আসামিকে গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান তিনি।

গত শুক্রবার রাতে শিবপুর উপজেলার যোশর ইউনিয়নের খৈনকুট গ্রামের পোল্ট্রি খামার শ্রমিক আবদুছ ছাত্তারের স্কুলপড়–য়া মেয়ে আজিজাকে (১৩) মোবাইল চুরির অভিযোগ এনে তার চাচি বিউটি বেগম ও তার স্বজনরা পার্শ্ববর্তী একটি কাঁঠাল বাগানে নিয়ে হাত পা বেঁধে রেখে তার সারা শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজিজা মারা যায়।

(ঢাকাটাইমস/৩০অক্টোবর/প্রতিনিধি/জেবি)