বাগেরহাটে প্রকাশ্যে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশ | ৩১ অক্টোবর ২০১৭, ২০:৫৫

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মানছুর শেখ নামে এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার হোগলাপাশা ইউনিয়নের বৈলপুর বাজারে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা মানছুরকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর বৈলপুর বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করেছে।

সন্ধ্যায় খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে কারা কেন মানছুরকে হত্যা করেছে তা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।

তবে পুলিশের ভাষ্য, নিহত মানছুর শেখ মোরেলগঞ্জ পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র আইনে অন্তত ১৬টি মামলা রয়েছে। এছাড়া একটি মামলায় মানছুরকে ১০ বছরের সাজাও দিয়েছে আদালত।

নিহত মানছুর শেখ মোরেলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের শেখ আব্দুল বারেকের ছেলে।

হোগলাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম নান্না ঘটনাস্থল থেকে সন্ধ্যায় ঢাকাটাইমসকে বলেন, বৈলপুর বাজারের রাস্তায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আমাকে খবর দেয়। আমি সেখানে গিয়ে দেখি তার গলাসহ শরীরে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। পরে আমি পুলিশকে খবর দেই। হত্যাকান্ডের পর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে বাজারের সব ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে চলে যান। তাই ওই সময়ে যারা বাজারে ছিল তারা না থাকায় মানছুরকে কারা হত্যা করেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈলপুর বাজারের একাধিক বাসিন্দা বলেন, ৬/৭ জন লোক আনুমানিক বিকাল চারটার দিকে ধারালো অস্ত্র হাতে বাজারে আসেন। তারা হঠাৎ করে সামনে একজন লোককে পেয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় ওই লোকটি রাস্তার উপরে পড়ে গেলে তার গলায় কোপ দিয়ে চলে যায়। এই দেখে বাজারের সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হয়ে দোকানপাট বন্ধ করে পালিয়ে যান।

মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল আলম ঘটনাস্থল থেকে সন্ধ্যায় ঢাকাটাইমসকে মুঠোফোনে বলেন, ধারালো অস্ত্রের কোপে নিহত মানছুর শেখ মোরেলগঞ্জ পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে থানায় হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র আইনসহ অন্তত ১৬টি মামলা রয়েছে। এছাড়া একটি মামলায় মানছুরকে ১০ বছরের সাজাও দিয়েছে আদালত। তিনি পলাতক ছিলেন।  মঙ্গলবার মানছুর কেন পাশ্ববর্তী বৈলপুর বাজারে এসেছিলেন এবং কারা কি কারণে তাকে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৩১অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)