এএসপি মিজান হত্যা মামলায় প্রতিবেদন দাখিল হয়নি

প্রকাশ | ০৫ নভেম্বর ২০১৭, ১২:৪৭

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

হাইওয়ে রেঞ্জের সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যা মামলায় রবিবার পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রতিবেদন দাখিলের পরবতী তারিখ ধার্য করেছে আদালত।

রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।

মামলাটিতে গত ২৩ জুলাই আসামি শাহ আলম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

পুলিশের দাবি, এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারকে চার ছিনতাইকারী মিলে হত্যা করে। আসামি ‘মিন্টু, কামাল ওরফে ফারুক, জাকির ও শাহ আলম ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে গত ২১ জুন ফজরের নামাজের আজানের পর উত্তরার তিন নম্বর সেক্টরে একটি মসজিদের পাশে প্রাইভেটকারে যাত্রীবেশে বসে ছিল। এএসপি মিজানুর রহমান এ সময় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। ছিনতাইকারী চারজন মিজানুরকে গাড়িতে উঠতে বলে।

গাড়িতে উঠার পর ফারুক বুঝতে পারে মিজানুর সরকারি সংস্থার লোক। তখন ফারুক গাড়ি থেকে নেমে যায় কিন্তু পরক্ষণেই আবার গাড়িতে উঠে। চালকের আসনে ছিল জাকির। শাহ আলম সামনে বসা ছিল। এ অবস্থায় তারা গাড়িতে গান ছেড়ে ও লাইট বন্ধ করে গাড়ি চালিয়ে  যায়। জসীম উদ্দিন রোড হয়ে প্রথমে হাউজ বিল্ডিং ও পরে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের দিকে যায়। গাড়ির পেছনের সিটে বসা মিন্টু একপর্যায়ে এএসপি মিজানের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। পেছনের সিটে বসা আরও দুইজন ফারুক ও মিন্টু এএসপি মিজানের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করছিল। একজন গাড়িতে থাকা ঝুট কাপড়ের ফিতা দিয়ে মিজানুরের গলা পেঁচিয়ে ধরে থাকে। কিছুক্ষণ পর মিজানুর নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং তার সাড়া-শব্দ না পেয়ে ছিনতাইকারীরা ভয় পেয়ে যায়। পুলিশের ভয়ে তারা ১০ নম্বর সেক্টর থেকে গলি পথ ধরে বেড়িবাঁধ এলাকায় যায়। এরপরই বিরুলিয়া ব্রিজের পাশে ঘন গাছপালা দেখে মৃত মিজানুরকে ফেলে যায়।

উল্লেখ্য, গত ২১ জুন রাজধানীর রূপনগর থানার মিরপুর বেড়িবাঁধের রাস্তার পাশ থেকে এএসপি মিজানুর রহমান তালুকদারের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই দিন রাতেই নিহতের ছোট ভাই মাসুম তালুকদার রূপনগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/৫নভেম্বর/আরজে/জেডএ)