পাইলট সাব্বিরের মাসহ তিনজন ফের রিমান্ডে

প্রকাশ | ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:০৭ | আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৭, ১৮:৫৬

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মিরপুর মাজার রোডের বর্ধনবাড়ি এলাকায় ‘কমল প্রভা’ জঙ্গি বাড়ির মামলায় পাইলট সাব্বির এনামের মা সুলতানা পারভীনসহ তিনজনকে পুনরায় রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

আসামি সুলতানা পরভীনের তিন দিনের এবং আসামি সৈয়দ নুরুল হুদা মাসুম ও মো. মাজহারুল ইসলামের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।

পুনরায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্যার-৪ এর এসআই মো. আমিরুল ইসলাম আসামিদের রিমান্ড আবেদন করেন।

এর আগে গত ১ নভেম্বর সুলতানা পারভীনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার পুনরায় তারা রিমান্ড আবেদন করা হয়।

গত ১ নভেম্বর সুলতানা পারভীনের সঙ্গে ছেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফার্স্ট অফিসার সাব্বির এমামের সাত দিনের এবং পারভিনের আত্মীয় আসিফুর রহমান ও মো. আলম আলম এবং সাব্বিরের সহযোগী সাহাদাত হোসেন ওরফে আমির হামজা ও সম্রাট মিয়ার ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। বর্তমানে তারা রিমান্ডে রয়েছেন।

র‌্যাবের দাবি, সাব্বির ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ফ্লাইং একাডেমি থেকে উড়োজাহাজ চালানোর প্রশিক্ষণ নেন। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রিজেন্ট এয়ারওয়েজে চাকরি করেন। ওই বছরই তিনি বিমানের পাইলটের চাকরি নেন। বিমানের ফার্স্ট অফিসার হিসেবে সাব্বির বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজ চালাতেন। গত ৩০ অক্টোবর তিনি ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করেন। তবে জঙ্গি আবদুল্লাহর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ছিল। নিহত জঙ্গি সারোয়ার জাহানের কাছ থেকে সাব্বির বায়াত গ্রহণ করেন। গুলশানে হোলি আর্টিজানে হামলার আগে ও পরে নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তার। এরই অংশ হিসেবে সাব্বির বিমান চালিয়ে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের বাসভবনে আঘাতের পরিকল্পনা করেন।

গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে মিরপুর মাজার রোডের বর্ধনবাড়ি এলাকায় ‘কমল প্রভা’ নামের একটি বাড়িতে (পাইলট সাব্বির ও সুলমানা পারভীনের বাড়ি) অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযান চলার সময় ওই বাড়ির পঞ্চম তলায় ‘জঙ্গি আস্তানায়’ ভয়াবহ রাসায়নিক বিস্ফোরণ হয়। অভিযানে জঙ্গি মীর আকরামুল করিম ওরফে উপল ওরফে আবদুল্লাহ ও তার পরিবার আত্মসমর্পণের জন্য সময় নেয়। কিন্তু পরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবদুল্লাহ, তার দুই স্ত্রী নাসনির ও ফাতেমা, দুই সন্তান  ওসামা বিন আকরামুল ও ওমর বিন আকরামুল এবং দুই সহযোগী কামাল ও অজ্ঞাত ব্যক্তি আত্মাহুতি দেয়। ওই ঘটনায় র‌্যাব‌বোমা, গান পাউডারসহ ২৪ ধরনের আলামত জব্দ করে। এরপর গত ৮ সেপেম্বর বিস্ফোরক আইনে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় একটি মামলা করে।

(ঢাকাটাইমস/৭নভেম্বর/আরজে/জেডএ)