৭ মার্চ জাতীয় দিবস নয় কেন: হাইকোর্ট

প্রকাশ | ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:০১ | আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

৭ মার্চকে কেন জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হবে না-সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ। একই সঙ্গে ৭ মার্চের ভাষণের স্থান চিহ্নিত করে মঞ্চ পুনর্নির্মাণ এবং বঙ্গবন্ধুর ‘আঙ্গুল তোলা ভাস্কর্য’ কেন নির্মাণ করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

৭ মার্চকে ‘ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস’ হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়ে করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এই রুল জারি করেছেন।

রুল জারির পর এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতেও বলা হয়েছে। এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও অর্থসচিব।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী বশীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের সংগ্রামে ১৯৭১ সালর ৭ মার্চ অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এই দিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে স্বাধীনতার যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’

৭ মার্চেই বঙ্গবন্ধু পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বলে বহু মানুষ মত প্রকাশ করেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবদ্দশায় নিজেও বলেছেন এই কথা। স্বাধীনতার পক্ষে লড়াই করা রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সামরিক কর্মকর্তারা ৭ মার্চের ভাষণেই তাদের করণীয় বিষয়ে ইঙ্গিত পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। আর এই ভাষণটিকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ এর অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো।

বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলন ও বাংলা ভাষার রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা হয়। এর মধ্যে আছে ২১ ফেব্রুয়ারি (আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও শহীদ দিবস), ২৬ মার্চ (স্বাধীনতা দিবস), ১৬ ডিসেম্বর (বিজয় দিবস)। এসব দিনে নানা রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় শ্রদ্ধা জানানো হয় শহীদদের, দেশপ্রেমে নতুন করে উদ্বুদ্ধ হয় মানুষ। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ হলেও ৭ মার্চ পালন করা হয় না রাষ্ট্রীয়ভাবে।

এই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের জন্য আবেদনকারী আইনজীবী বশির আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র জমা দেয়া এবং এখান থেকে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের বিষয়টিও মুর‍্যালে তুলে ধরতে বলা হয়েছে হয়েছে আদালতের আদেশে। এছাড়াও ওই দিনটিকে কেন ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২০নভেম্বর/এমএবি/ডব্লিউবি)