ভারতের বিচারপতি আন্তর্জাতিক আদালতে পুনরায় নির্বাচিত

প্রকাশ | ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:০৫ | আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:০৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারপতি হিসেবে পুনরায় নির্বাচনে জিতলেন ভারতের দলবির ভান্ডারি। পরিস্থিতি সুবিধার নয় দেখে, ভোট গণনার ১১ রাউন্ড শেষে ব্রিটেন তাদের প্রার্থী ক্রিস্টোফার গ্রিনউডের নাম প্রত্যাহার করে নেয়। প্রতিদ্বন্দ্বী রিং-এর বাইরে চলে যাওয়ায় দলবিরের জয় সহজে চলে আসে।

টুইট করে দলবিরকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।

আন্তর্জাতিক আদালত সব মিলিয়ে ১৫ জন বিচারপতি নিয়ে গঠিত। তাদের প্রত্যেকের মেয়াদ ৯ বছর। প্রতি তিন বছর অন্তর তার এক তৃতীয়াংশ অর্থাৎ ৫ জন বিচারপতি নতুন করে নিয়োগ হয়। সেই পাঁচ জনের মধ্যেই এ বার ছিলেন দলবির এবং ক্রিস্টোফার। পঞ্চম বিচারপতি পদের জন্য তারা লড়ছিলেন। ১১ রাউন্ড পর্যন্ত দলবির জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এবং ক্রিস্টোফার নিরাপত্তা পরিষদে এগিয়ে ছিলেন। একজন প্রার্থীকে জিততে হলে, এই দুই সভাতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রয়োজন। কিন্তু শেষে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ব্রিটেন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়। এরপর নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি ভোটই দলবিরের ঝুলিতে এসে জমা হয়। পাশাপাশি তিনি নিরাপত্তা পরিষদের ১৯৩টি ভোটের মধ্যে ১৮৩টি পেয়েছেন।

১৯৪৫ সালে তৈরি হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক আদালতে এই প্রথম ব্রিটেনের কোনও বিচারপতি থাকছেন না।

জাতিসংঘে ব্রিটেনের স্থায়ী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ১১ রাউন্ডের পর আর কোনও সম্ভাবনাই ছিল না ক্রিস্টোফারের। তাই নাম প্রত্যাহার করে নেয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না। না হলে, সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদের শুধু সময়ই নষ্ট হত। সেটা ব্রিটেন চায়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

দলবিরের এই জয় প্রসঙ্গে জাতিসংঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদ আকবরুদ্দিন মঙ্গলবার বলেন, ‘নতুন যে ভারত উঠে আসছে এই জয় আসলে তার। পাশাপাশি এটাও স্বীকৃতি পেল, ভারতের দাবি মানতে গোটা বিশ্বকে এখন জায়গা ছেড়ে দিতে হচ্ছে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘পুনর্নির্বাচিত হওয়ার জন্য দলবির ভান্ডারিকে শুভেচ্ছা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টিমের প্রচুর চেষ্টার ফসল এটা। সাঈদ আকবরুদ্দিনের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করতেই হয়।’

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

(ঢাকাটাইমস/২১নভেম্বর/এসআই)