বারবার এক কথা বলে ‘ফালতু’ হতে চান না কাদের
প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৩:২১
নিত্য দিন কর্মসূচিতে গেলে একই কথা বারবার বলতে হয় বলে বিরক্ত আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি চান, অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ কম আসুক। কারণ, বারবার এক কথা বললে ফালতু হয়ে যেতে হয়।
শনিবার রাজধানীর তোপখানা রোডে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে ৭ মার্চের ভাষণের উপর এক আলোচনায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক এই ভাষণকে ইউনেস্কো বিশ্ব প্রামাণ্য ঐহিত্যের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় এই আলোচনার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটি।
বিভিন্ন আয়োজনে প্রচার পেতে মন্ত্রীদের দাওয়াত দেয়া হয় মন্তব্য করে এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে আয়োজকদের প্রতি অনুরোধ করেন ওবায়দুল কাদের। আর নিজ দলের তথ্য ও গবেষণা উপকমিটির অনুষ্ঠানে মন্ত্রীদের না আনার পরামর্শ দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মন্ত্রী না আসলে ক্যামেরা আসে না, এই থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।... এরপরে আমরা ওয়েট করি, দেখি কয়টা ক্যামেরা আসে। না আসলে কী হবে। সব না আসুক কেউ না কেউ তো আসবে, তাতে কী? হবে, আস্তে আস্তে হবে।’
‘মন্ত্রী ছাড়া অনুষ্ঠান কেন হবে না। এতগুলো বিজ্ঞ মানুষ এত ভালো কথা বলে এর পরও মন্ত্রী বারবার কেন।’
‘আমি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সারাদিন বক্তব্য দিতে দিতে, একই রকম বক্তব্য...’ এমন মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘বক্তব্য দিতে ইনপুট তো লাগে। নতুন ইনপুট না হলে আমাকে বারবার পুরনো কথা বলতে হয়, এতে তো আমি ফালতু হয়ে যাব।’
‘বারবার যে বেশি কথা বলে সে বেশি বুঝে। আমি মনে করি আমাদের এই ধারাটা বদলাতে হবে।’
আলোচনায় দুর্নীতির জন্য রাজনীতিবিদদের দায়ী করে তাদের সংশোধন হওয়ারও আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের মধ্যে কয়জন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে আমি সৎ? আমি শতভাগ সৎ মানুষ? কয়জন বলতে পারবে? এখানেই সমস্যা।’
‘আমরা রাজনীতিকরা যদি দুর্নীতিমুক্ত থাকি তবে দেশের দূর্নীতি আটোমেটিক্যালি অর্ধেক কমে যাবে।’
সততার জন্য বঙ্গবন্ধুর দৃষ্টান্ত অনুসরণের তাগিদ দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শিখিয়েছেন সততার আদর্শ, সততার আদর্শ বড় এসেট।’
‘একজন রাজনীতিকের জীবনের মানুষের ভালোবাসার চেয়ে বড় আর কিছু নেই, আর মানুষের ভালোবাসা পেতে হলে সৎ হতে হবে, মানুষকে ভালোবাসতে হবে, মানুষের কাছে থাকতে হবে, মাটির কাছে থাকতে হবে, এই শিক্ষা বঙ্গবন্ধু রাজনীতিকদের দিয়ে গেছেন।’
সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর কান্ট্রি ডিরেক্টর বিট্রিস কালদুল, আবৃতিকার হাসান আরিফ, আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ আলোচনায় বক্তব্য দেন।
ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/টিএ/ডব্লিউবি