রক্তের বদলা নেবে মিশর

প্রকাশ | ২৫ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:০৪

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে বদলা নেবার ঘোষণা দিয়েছেন মিশর। হামলার কয়েক ঘণ্টা পরেই টেলিভিশনে জাতীর উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে হামলার বদলা নেবার শপথ করে প্রেসিডেন্ট ফাত্তাহ আল সিসি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কায়রোর লড়াই থামিয়ে দিতেই জঙ্গিরা মসজিদে বোমা হামলা ও গুলি চালিয়েছে। তিনি বলেন “মিশরের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ আমাদের শহীদের রক্তের বদলা নেবে। সর্বশক্তি দিয়ে আমরা দেশের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করবো,”

গতকাল শুক্রবার মিশরের সিনাই প্রদেশে জনাকীর্ণ এক মসজিদে জঙ্গিরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর ভীতসন্তস্ত্র মুসল্লীরা মসজিদ থেকে বের হয়ে এলে তাদের উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছে। ১৩০ জন আহত হয়েছে এ ঘটনায়। হামলার দায় এখনো নিজের কাধে নেয়নি। তবে বিগত বছরগুলোতে সিনাই প্রদেশে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর উৎপাত বেড়েছে বলে তারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এর আগেও মিশরের সিনাই প্রদেশ কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গি সগঠনটি হামলা  চালিয়েছে। তবে এবারই প্রথম একসাথে এতজন নিহত হবার ঘটনা ঘটলো।

মিশরের বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা গেছে আল রাওদা মসজিদে সুফিবাদে বিশ্বাসীরা নিয়মিত নামাজ পড়তে আসেন। আইএস এবং অন্যান্য কট্টরপন্থী জিহাদি গ্রুপ সুফিবাদীদের মুসলমান বলে মনে করে না।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, দুর্গম পথে চলতে সক্ষম- এমন চারটি বাহনে চড়ে হামলাকারীরা ওই মসজিদে আসে। জুমার নামাজ যখন শেষ হচ্ছে, তখন সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

ঘটনার পরপরই রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে প্রচারিত বিভিন্ন ফুটেজে দেখা গেছে, এল আরিশ শহরের পশ্চিমে বির আল-আবেদ এলাকার আল রাওদাহ মসজিদে নিহত মুসল্লিদের লাশ কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে মিশরের মাটিতে এটাই অন্যতম ভয়াবহ হামলা বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীকে এ হামলার কঠোর জবাব দেয়ার আদেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ফাত্তাহ।

রাজধানী কায়রো থেকে ১৩০ মাইল দূরে অবস্থিত আল রাওদাহ মসজিদে ভয়াবহ এ বোমা হামলার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মিশরের সেনাবাহিনী আইএসের বেশক’টি অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় বলে বিবিসি জানিয়েছে।

সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, জঙ্গিগোষ্ঠীটির মজুদ করা বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ধ্বংস করা হয়েছে।  মসজিদে হামলায় ব্যবহৃত কয়েকটি গাড়ি চিহ্নিত করে সেগুলোর ওপরও বিমান হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি মুখপাত্রের।

ঢাকাটাইমস/২৫নভেম্বর/কেএস