শিশু সন্তানকে বাঁচাতে অসহায় বাবার আকুতি

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:২৮ | আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৭, ১০:০১

নীলফামারী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

অন্যান্য শিশুদের মতই ছোটাছুটি, খেলাধুলা সবই করছে ফুটফুটে কোমলমতি শিশু বাঁধন ইসলাম। নিজের মনে ছুটে বেড়াচ্ছেন, বাবা-মায়ের কোলে আদরে সোহাগে বেড়েও ওঠছেন। তাকে নিয়ে বাবা-মায়ের স্বপ্ন একটাই সন্তান বড় হবে সমাজে মানুষের মত মানুষ হয়ে তাদের মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্ত বাঁধনের বাবা-মায়ের সেই স্বপ্নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সন্তানের অসুস্থতা। অবুঝ পাঁচ বছর বয়সী শিশুটির কিডনীতে সমস্যা দেখা দিয়েছে।

জন্মের এক বছর পর থেকে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে অনেকটা অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে শিশুটির জীবন। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে শিশুটির মৃত্যুর ঝুঁকি ততই বাড়ছে। তাই সন্তানকে বাঁচাতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন বাবা-মা। সন্তানের চিকিৎসার খরচ করা তাদের মতো গরিব মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবাদ মানুষের দিকে আছেন তারা।

নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের আরিফুল ইসলাম লিঠু ও পারভীন আক্তারের ছোট ছেলে বাঁধন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সে ছোট। আরিফুল ইসলাম ছোট্ট একটি ডেকোরেটরে বাবুর্চির কাজ করে সংসার চালায়।

শিশু বাঁধনের বাবা আরিফুল জানান, জন্মের এক বছর পর থেকেই তার সন্তানের কিডনিতে সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় তিন বছর ধরে সন্তানের চিকিৎসা করে আসছেন। সন্তানের চিকিৎসা করতে গিয়ে চাষের জমি, বসতভিটা বিক্রি করে ইতোমধ্যে প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ করেছেন। ফলে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়েছেন। এখন আর তেমন কিছু নেই যে যা বিক্রি করে চিকিৎসা করবেন। বসতবাড়ির ৮ শতাংশ জমির মধ্যে ইতোমধ্যে ৪ শতাংশ জমি বিক্রি করে দিয়েছে।

তিনি আরও জানান, উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসার জন্য আরও চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার প্রয়োজন, যা তার বাবার পক্ষে সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। টাকা না হলে শিশু বাঁধনকে নিয়ে চলে আসতে হবে। তাই অবুঝ শিশুটিকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে অসহায় এই বাবা।

ভারতের খিস্ট্রান মেডিকেল কলেজ ভেলর কিডনি রোগের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার ভিসাল গলে জানিয়েছেন, পরীক্ষা নিরীক্ষায় ধরা পড়েছে শিশুটির দুটো কিডনি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। শিশুটির সুস্থ করতে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করতে হবে। আর তা এখানে থেকেই করতে হবে।

ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/এমআর