জেরুজালেম ইস্যুতে তিনদিন পর খালেদার প্রতিবাদ

প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৫:৫৪ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০১৭, ২২:৪৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার তিনদিন পর বিবৃতি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ ও উদ্বেগ জানালেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

তিনি ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার এবং নিজ রাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে বসবাসের আকাঙ্ক্ষার ওপর চপেটাঘাত বলে দাবি করেছেন।

গত বুধবার রাতে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর তিনদিন পর রবিবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠানো হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অশান্তি ডেকে আনবে। এতে বিশ্বের শান্তিকামী প্রতিটি মানুষের মতো আমিও গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই সিদ্ধান্ত ওই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের জন্য দীর্ঘদিনের প্রয়াসকে গুরুতরভাবে ক্ষতি করবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প এ ঘোষণা দেন। ট্রাম্পের এই ঘোষণার পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এর বিরোধিতা করে প্রতিবাদ হচ্ছে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রাম্পের এই ঘোষণার বিরোধিতা করার দাবি জানিয়েছেন। ইতিমধ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে ধর্মভিত্তিক দলগুলো।

পবিত্র নগরী হিসেবে গোটা বিশ্বজুড়ে সমাদৃত জেরুজালেম। ডেড সি বা মৃত সাগরের পশ্চিম তীরবর্তী এ শহরটি আদিকাল থেকেই মুসলিম, ইহুদি ও খ্রিস্টান এ তিন ধর্মের কাছে সমান গুরুত্ব বহন করে আসছে। কিন্তু ১৯৬৭ সাল থেকে জেরুজালেমের মালিকানা বা অধিকার নিয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের লড়াই শুরু হয়। ছয়দিনের যুদ্ধ শেষে ইসরাইল পশ্চিম জেরুজালেমকে অধিগ্রহণ করে নেয়। যদিও আন্তর্জাতিক মহল একে ইসরাইলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।

খালেদা জিয়া বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং নিজ রাষ্ট্রে স্বাধীনভাবে বসবাসের অধিকার রয়েছে। কিন্তু, ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের বিপক্ষে গিয়ে ট্রাম্পের একতরফা স্বীকৃতির আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তিনি ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সঙ্গত অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে বিশ্ব নেতৃবেন্দর প্রতি আহ্বান জানান।

(ঢাকাটাইমস/১০ডিসেম্বর/বিইউ/জেবি)