জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেবে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন

প্রকাশ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:১৩ | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:১৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

যুক্তরাষ্ট্রের মতোই ইউরোপও জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে বলে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আশা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু ইইউ পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান বলেছেন, তাদের নীতিতে কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। খবর বিবিসির।

নেতানিয়াহু এখন ব্রাসেলস সফরে এসে ইইউ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। গত ২০ বছরে এই প্রথম কোন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ব্রাসেলস সফর করলেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আশা করেন যে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুসরণ করে ইউরোপও জেরুজালেমকে তার দেশের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবে এবং ইউরোপের দেশগুলো একে একে তাদের দূতাবাস জেরুসালেমে নিয়ে যাবে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে নেতানিয়াহু বলেন, জেরুসালেম তিন হাজার বছর ধরে ইহুদি জনগণের রাজধানী ছিল।

কিন্তু ইইউ পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগারিনি বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি এবং এ ক্ষেত্রে তারা 'আন্তর্জাতিক ঐকমত্যকেই' অনুসরণ করবে।

‘আমরা বিশ্বাস করি যে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের একমাত্র বাস্তবসম্মত সমাধান হচ্ছে দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধান যার দুটিরই রাজধানী হবে জেরুজালেম’ - বলেন তিনি। মোগারিনি দুনিয়ার সর্বত্র 'ইহুদিদের ওপর সব ধরনের আক্রমণেরও নিন্দা করেন।'

ইসরায়েল বরাবরই জেরুজালেমকে তাদের রাজধানী বলে মনে করে আসছে। অন্যদিকে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনিরা তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী বলে মনে করে - যা ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে দখল করে নেয় ।

জেরুজালেমের ওপর ইসরায়েলের দাবি কখনোই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি। ইসরায়েলে সব দূতাবাসগুলোই অবস্থিত তেল আবিবে।

জেরুজালেমে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও ইসলাম - এই তিন ধর্মেরই পবিত্র স্থান আছে।

ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেবার পর ফিলিস্তিনি ও বিভিন্ন দেশে ব্যাপক ক্ষোভ ও নিন্দা জানায়। একে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয় - যাতে এ পর্যন্ত চার জন নিহত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১২ডিসেম্বর/এসআই)