আমার আজেবাজে জিদ নেই: মাশরাফি

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:৪০ | আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৯:৪৪

ক্রীড়া প্রতিবেদক,ঢাকাটাইমস

বিপিএলের পাঁচটি আসর হয়েছে এ পর্যন্ত।এরমধ্যে চারবারই ট্রফি উঠেছে মাশরাফির হাতে। মাশরাফি যেখানে বিপিএলের শিরোপাও যেন সেখানে। এমন সাফল্যের রহস্য কী?

চেষ্টার পাশাপাশি ভাগ্যওটাও সহায় ছিল বলে এটা সম্ভব হয়েছে বলে মাশরাফি জানালেন। তিনি বলেন,‘আসলে কোনো রহস্য টহস্য নাই। লাক ফেবার না করলে কিছুই সম্ভব না। আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। লাক ফেবার করছে তাই পারছি।’

এরপর মাশরাফি যোগ করেন,‘ শুধুমাত্র ভাগ্যের ওপর বসে থাকলে চলবে না। আপনি চেষ্টা করলেন না; কিন্তু লাকের ওপর বসে থাকলেন, তাহলেতো আর হবে না। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে। তবে চ্যাম্পিয়ন হতে হলে কিংবা যেকোনো ভালো কিছু করতে হলে ভাগ্যর আনুকূল্য অবশ্যই লাগে। আমি এটাই বিশ্বাস করি।’

রংপুরের সাফল্যের অন্যতম রূপকার ক্রিস গেইল। মাশরাফি জানালেন, তিনি প্রথমেই ম্যানেজমেন্টকে গেইলকে আনার কথা বলেছিলেন। তার মনে হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনো গেইল সেরা। তার প্রমান তো সবাই দেখলেন। তাঁর দুই সেঞ্চুরিতেই রংপুর চ্যাম্পিয়ন।

মাশরাফি বলেন,‘ আমরা জানতাম আমাদের দুই তিনজন বড় খেলোয়াড় আছেন। তারা যদি ম্যাসিভ ড্যামেজ করতে পারে তাহলে অন্য দলের জেতা কঠিন। জায়গামতো গেইল, চার্লস আর ম্যাককালাম ঠিকই জ্বলে উঠেছেন। আমরা যা চাচ্ছিলাম তারা সেটাই করে দেখিয়েছে।’

মার্চে জাতীয় টি-টোয়েন্টি দলকে থেকে সরে দাঁড়ান মাশরাফি। কিন্তু প্রমাণ করেছেন এ ফরম্যাটে দেওয়ার মতো অনেক কিছু এখনও আছে তার মধ্যে। তাহলে কী জাতীয় দলে ফেরার জন্য সামার্থ্য প্রমাণ করছেন মাশরাফি?

‘দেখেন, প্রথমত কামব্যাকের কথা চিন্তা করছি না। দ্বিতীয়ত আমার আজে বাজে জিদ নেই। পারফরম্যান্স আমার প্রয়োজনের তাগিদেই করছি। আমি যখন বিপিএল খেলছি, তা টিভিতে অনেক মানুষ দেখেছ। আমি সব সময় চেষ্টা করি, আমি যেটা খেলি, যেখানেই খেলি আমার শতভাগ দিতে। কত দূরে কি হবে, তা পরিকল্পনা করি না।’

জাতীয় দলে ফেরার সম্ভাবনা নাকচ করে দিলেও ঘরোয়া লিগে ঠিকই খেলবেন বলে জানান মাশরাফি। বললেন,‘টি-টোয়েন্টি খেলব না কেন। সত্যি করে বলছি, আমি এখানে খেললে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছি। আমারও তো পরিবার আছে। বিপিএল খেলার সামর্থ্য আমার আছে। বিপিএল ও ঢাকা লিগ অবশ্যই খেলব। আর পাশাপাশি এখন একটাই ফরম্যাট খেলছি। আমার জন্য অনুশীলন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর ম্যাচ অনুশীলন যদি না করতে পারি তাহলে একেবারে খেলাটা কঠিন। আমি যতটুকু সুযোগ পাই সেটা আমার জন্য ভালো। দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার আগে দুটি চারদিনের ম্যাচ খেলেছি। আমি চেষ্টা করেছি আমার সেরাটা দেয় খেলার।’

 (ঢাকাটাইমস/১৩ডিসেম্বর/ডিএইচ)