কুবিতে ক্রিকেট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১২

প্রকাশ | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ২১:৫২

কুবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) খেলাধুলা সংক্রান্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে শালবন বিহার মাঠে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১২ জন। এদের মাঝে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাখা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।


ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, বিজয় দিবসকে সামনে রেখে শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক আয়োজিত প্রীতি ক্রিকেট সিরিজে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদের নেতৃত্বাধীন শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাসের নেতৃত্বাধীন কাজী নজরুল ইসলাম হলের (কলা ও মানবিক অনুষদ) শিক্ষার্থীদের পূর্বনিধারিত ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে।

খেলায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানা-না মানা নিয়ে দুই দলের বাকবিত-া হয়। কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় হলের নেতাকর্মীরা ব্যাট-স্ট্যাম্প দিয়ে একে অন্যকে আঘাত করেন। এইসময় উভয়পক্ষের প্রায় ১২জন নেতাকর্মী আহত হন। এদের মাঝে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়।

এরা হলেন- শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস (নৃবিজ্ঞান ৭ম ব্যাচ), ছাত্রলীগ কর্মী সিফাত ফয়েজ, ইমরান হোসাইন (বাংলা ১১তম ব্যাচ), আতিকুর রহমান (অর্থনীতি ১১তম ব্যাচ)। আহতদের মাঝে অন্যান্যরা নিকটস্থ ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়।

আহত শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বজন বরণ বিশ্বাস জানান, ‘পরিকল্পিতভাবেই আমি ও আমার দলের ছেলেদের ওপর হামলা চালিয়েছে মাজেদ (সাধারণ সম্পাদক) ও তার অনুসারী বুখারী, সাব্বির, শাওন, হিমেল, গল্প, শান্তরা। এর আগেও আমাকে মারার জন্য তারা বিভিন্নভাবে পরিকল্পনা করেছে। আমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে তার (মাজেদ) আজীবন বহিষ্কারাদেশ দাবি করছি এবং আমার ওপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, ‘খেলায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত না মেনে স্বজন বেয়াদবি করেছে এবং আমাদের চোখ রাঙিয়ে শাসিয়েছে। পরবর্তীতে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। এসময় আমি ও সভাপতি (ইলিয়াস হোসেন সবুজ) উপস্থিত ছিলাম। এ বিষয়ে পরবর্তীতে আমরা বসে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।’

তবে, নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের ‘গ্রুপিং’ নেই দাবি করে শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, ‘খেলায় দুদলের বাকবিত-া থেকেই মারামারির উৎপত্তি। আমি ছেলেদের শান্ত করার চেষ্টা করেছি। এতে কোনো ধরনের গ্রুপিং হয়নি। আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর পদক্ষেপ নিবো।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, ‘খেলা নিয়ে দুই দলের ভুল বুঝাবুঝি থেকে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন খোঁজ নিচ্ছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৪ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/ ইএস)