এক সপ্তাহ পর ফের ত্রাণ পাচ্ছে রোহিঙ্গারা

প্রকাশ | ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:০১ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭, ১২:৪১

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
ফাইল ছবি

গণহত্যা ও নির্যাতনের মুখে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি সাময়িক বন্ধ রাখার পর আগামীকাল সোমবার থেকে তা আবার চালু হচ্ছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলী আহমেদ জানিয়েছেন, ১৮ ডিসেম্বর থেকে স্বাভাবিকভাবে ত্রাণ কার্যক্রম চলবে। খবর বিবিসি বাংলার।

গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে এক সপ্তাহের জন্য এ কর্মসূচি বন্ধ রেখেছিল সরকার।

জেলা প্রশাসক বলেন, ‘আসলে আমরা সাময়িকভাবে ত্রাণ কার্যক্রমটা বন্ধ রেখেছিলাম যাতে ত্রাণের অপচয় না হয়। আর এটা শুধু এনজিওদের জন্য ছিল। আন্তর্জাতিক এনজিও, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি যথারীতি কাজ করবে। স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায় থেকে যে সাহায্য আসছিল সেটাও কাজ করবে। আজ থেকে সাময়িক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে যাবে। ১৮ তারিখ (সোমবার) থেকে আমরা আবার ত্রাণ কার্যক্রম চালাবো, অসুবিধা নাই।’

খাদ্যসামগ্রীর কোনো অভাব হবে না বলেও জানান ডিসি। বলেন, ‘খাদ্য সামগ্রীর অভাব নেই। প্রচুর খাদ্য সামগ্রী আসছে। বিভিন্ন এনজিওর কাছে প্রচুর খাদ্য আছে।’

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ত্রাণের খাবার নিয়ে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে-এমন কোন অভিযোগ ওঠার মাঝেই আসে সরকারি সিদ্ধান্তের ঘোষণা। যদিও কর্তৃপক্ষ তেমন কোনো প্রমাণ তাদের হাতে নেই বলে জানিয়েছিল। খাবার যাতে অপচয় না হয় এবং খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা যাতে আরও কার্যকর করা যায়, সেটা নিশ্চিত করাই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য বলে জানায় জেলা প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক আলী আহমেদ জানান, মিয়ানমার থেকে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য শীতকালীন প্রস্তুতিও যথেষ্ট নিয়েছেন তারা। তিনি বলেন, ‘আমাদের ধারণা এক লাখ ৬০ হাজারের মতো পরিবার থাকতে পারে। এক-দেড় লাখ কম্বল বিতরণ হয়ে গেছে তারা শীতের জন্য কম্বল ও কাপড় পাচ্ছে।’

এছাড়া শীতকালীন অসুখ-বিসুখের বিষয়ও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানান আলী আহমেদ। তিনি বলেন, ‘ডিপথেরিয়া দেখা দিয়েছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ডিপথেরিয়া কি-না সেটি নিয়ে কনফিউশন রয়েছে।’ তবে এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/জেবি)