ভোটকে ঘিরে নিরাপত্তার চাদরে রংপুর

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:১২ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৮:২৮

রফিকুল ইসলাম রফিক, রংপুর

বৃহস্পতিবারের ভোটকে সামনে রেখে রংপুর সিটি করপোরশন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকধারী সদস্যদের পাশাপাশি কাজ করছেন বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা।

নির্বাচনী এলাকার বাইরে থেকে আসা মানুষকে এলাকা ছাড়তে বলা হয়েছে। হোটেল-মোটেলগুলোতে কাউকে কক্ষ ভাড়া না দেয়ার নির্দেশনা আরোপ করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযানের পাশাপাশি বৈধ অস্ত্র প্রদর্শনেও আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নিশ্চিত করতে নিরাপত্তার কড়াকড়ি আরও বেশি।

ভোটের দুই দিন আগে রংপুরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। এর মধ্যেই ভোটের পরিবেশ নিয়ে নানা অভিযোগ করে আসছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

এই নির্বাচনে ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট ১৯৩টি কেন্দ্রে নেয়া হবে ভোট। এর মধ্যে অধিক গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে প্রশাসন চিহ্নিত করেছে ১০৮টি কেন্দ্রকে। কেন্দ্রগুলোর আশপাশে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জন করে পুলিশ ও ১৪ জন করে আনসার সদস্য থাকবে। আর সাধারণ কেন্দ্রে আট জন পুলিশ ও ১৪ জন আনসার সদস্য থাকবে। এ ছাড়া প্রতি ওয়ার্ডে থাকবে র‌্যাবের একটি করে দল।

পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, ভোটে প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আরও ছয় জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে ছয়টি স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে। বিজিবি থাকবে ২১ প্লাটুন।

বহিরাগতদের অবস্থান নিষিদ্ধ করে জারি করা নির্দেশনা তথ্য অধিদপ্তর থেকে মাইকে প্রচারও করা হচ্ছে। হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতে বহিরাগত না তুলতে সতর্ক করে চিঠি দেয়া হয়েছে।

পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা নম্বরবিহীন দুইশ মোটরসাইকেল আটক করেছি। তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়াও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে। বৈধ অস্ত্র যেন কেউ প্রদর্শন করতে না পারেন সে জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

নগরীতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কেউ কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটনার শঙ্কা নেই।’

নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘কেউ ভোট কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারবে না। সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় সংখ্যক সদস্য মোতায়েন আছে।’

রংপুর সিটি করপোরেশনে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ে দ্বিতীয় নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১১ জন। এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে হচ্ছে মেয়র নির্বাচন। আজ মঙ্গলবার মধ্যরাতে প্রচার বন্ধের পরদিন কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠাবে নির্বাচন কমিশন। যেসব কেন্দ্রে ভোট নেয়া হবে তার একটিতে ভোটাররা তাদের প্রার্থী বাছাই করবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম দিয়ে।

ঢাকাটাইমস/১৯ডিসেম্বর/আরআর/ডব্লিউবি