ফরিদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৭

প্রকাশ | ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭, ১৯:০৯

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ফরিদপুরের সালথায় আ.লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে আ.লীগ নেতাসহ ১৭ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ২৬টি গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান ওরফে হামিদ মাতুব্বরের সাথে একই এলাকার বাসিন্দা মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মাতুব্বরের বিরোধ চলে আসছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের কয়েক সমর্থক মাঝারদিয়া বাজারে গেলে সেলিম মাতুব্বর এক সমর্থক একজনকে থাপ্পড় মারে। এর জের সারারাত ওই গ্রামে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করতে থাকে।

উত্তেজনার এক পর্যায়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে।

এ সংঘর্ষের সময় আ.লীগ নেতা সেলিম মাতুব্বরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংঘর্ষের সময় মাথায় কাতরার কোপে সেলিম আহত হন। তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আরও ১৬ জন আহত হয়। বেশির ভাগই ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

মাঝারদিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম মাতুব্বর বলেন, আমার সমর্থক ইউপি সদস্য (দুই নম্বর ওয়ার্ড) কবির মোল্লার সাথে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে বিরোধ চলছিল। সম্প্রতি কবির চেয়ারম্যানের পক্ষে যোগ দেয়। এই সুযোগে চেয়ারম্যান আমাদের উপর প্রতিশোধ নিতে এ সংঘর্ষ বাঁধায়।

মাঝারদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার সমর্থকরা মাঝারদিয়া বাজরে গেলে তাদের মারা হয় এবং বাজার থেকে বের করে দেয়া হয়। এজন্য এ সংঘর্ষ হয়েছে।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্রে করে আ.লীগের দুই পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ২৬টি গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তিনি বলেন, ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি কিংবা কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ দেয়নি।

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/প্রতিনিধি/এলএ)