জয়পুরহাট-২: পুনরুদ্ধারে বিএনপিতে ৯ ধরে রাখতে আ.লীগে ৪

শামীম কাদির, জয়পুরহাট
| আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:২৩ | প্রকাশিত : ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, ০৮:২১

কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত জয়পুরহাট-২ আসনে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে দল ও বিভিন্ন মহলে চলছে জল্পনা। প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে অন্তত এক ডজন মনোনয়ন-প্রত্যাশী নিজেদের পক্ষে কাজ করছেন। এর মধ্যে বিএনপিরই নয়জন।

গত ছয়টি নির্বাচনের ফলাফল থেকে দেখা যায়, এই আসনে বরাবরই জিতে আসছে বিএনপি। ১৯৯১ সাল থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অর্থাৎ পঞ্চম থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত টানা ২৩ বছর বিএনপির দখলে ছিল আসনটি। একে নিজেদের আসন হিসেবে বিবেচনা করেন বিএনপির নেতারা। তাই নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর সংখ্যাধিক্য দেখা যায় সব সময়ই।

সর্বশেষ ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় আসনটি হাতছাড়া হয় তাদের। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল-মাহমুদ স্বপন। আসনটি ধরে রাখতে আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনেও দলের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে সভা-সমাবেশ. গণসংযোগ করছেন তিনি।

তবে দলোর স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, মনোনয়ন দৌড়ে স্বপনের প্রতিযোগী আছেন আরও অন্তত তিনজন। জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী, কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার বর্তমান মেয়র খন্দকার হালিমুল আলম জন এবং কালাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল ইসলাম তালুকদার বেলাল মনোনয়ন-প্রত্যাশী বলে জানান তারা নিজেরাই।

অন্যদিকে নিজেদের হারানো আসনটি পুনরুদ্ধারে তৎপর বিএনপির নেতারা। তবে এখনো দলের একক কোনো নেতা আলাদা করে এগিয়ে নেই। মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন অন্তত নয়জন নেতা।

জেলা বিএনপির সিনিয়ার সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, অপর দুই সহ-সভাপতি রওনকুল ইসলাম টিপু চৌধুরী ও কামরুজ্জামান কমল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আলী হাসান মুক্তা, সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন সিরাজুল ইসলাম বিদ্যুৎ, আক্কেলপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ আরিফ রানা, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য চন্দন রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুর মোহাম্মদ রুবেল ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ফজলে কাদের সোহেল দল থেকে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানান।

জাতীয় পার্টির মনোনয়ন-প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাশেম রিপন, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মুনছুর রহমান, জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি নূরুল্লাহ্ মাসুম ও কালাই উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এনামল কবির।

এ আসনে আর কোনো দলের নেতাকর্মীদের প্রার্থিতার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি।

একাধিক মনোনয়ন-প্রত্যাশী থাকলেও দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা কাজ করবেন বলে জানান প্রধান দলগুলোর স্থানীয় নেতারা।

জয়পুরহাট-২ আসনকে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে উল্লেখ করে জেলা বিএনপির সভাপতি মোজাহার আলী প্রধান বলেন, এই আসনে বরাবরই বিএনপির প্রার্থী জয় লাভ করে আসছে। আগামী নির্বাচনেও ভোটাররা বিএনপিকে ভোট দেবে বলে আশা করেন তিনি।

দলে মনোনয়ন-প্রত্যাশীর আধিক্য সম্পর্কে মোজাহার আলী বলেন, ‘দলের নেতাকর্মী হিসেবে যে কেউ মনোনয়ন চাইতেই পারেন। তবে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষে সবাই কাজ করবে।’

নিজেদের বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদ জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুল আলম দুদুও। দলের একাধিক মনোনয়ন-প্রত্যাশীর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দলের মনোনয়ন দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যাকে মনোয়ন দেবেন সবাইকে তার পক্ষেই নির্বাচন করতে হবে।’

(ঢাকাটাইমস/২৪ডিসেম্বর/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :