এককালীন পাঁচ শতাংশে ফ্ল্যাট কেনায় আগ্রহ বাড়বে

প্রকাশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭, ২০:০৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর ৬৮ শতাংশ মানুষ থাকেন ভাড়া বাড়িতে। ঢাকায় বাড়ি করা কিংবা ফ্ল্যাট কেনার সামর্থ্য নেই তাদের। তবে এককালীন ৩০ শতাংশের বদলে পাঁচ শতাংশ টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা হলে ফ্ল্যাট কেনায় মানুষের আগ্রহ বাড়বে।

রবিবার রাজধানী ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকা মহানগরীর আবাসন বিষয়ক প্রতিবেদনে এই তথ্য বেরিয়ে আসে।

চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে রাজধানীর পুরান ঢাকা, বাড্ডা, মিরপুর ও রামপুরা এলাকার ৪০০ বাড়ি থেকে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান অধ্যাপক সেলিনা আজিজ

গবেষণা প্রতিবেদনে রাজধানীতে বাসস্থানের পর্যাপ্ততা, নগরবাসীর সামর্থ্য, বাসস্থানে মৌলিক সেবাসমূহের মান এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি, ভাড়াটেদের নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আবাসন খাতের শাসনব্যবস্থার চিত্র তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানীতে জনসংখ্যা অনুযায়ী প্রতিবছর ফ্ল্যাটের চাহিদা প্রায় দশমিক ১২ শতাংশ। তবে সেখানে গড়ে উঠছে মাত্র ২৫ হাজার ফ্ল্যাট, যা চাহিদানুযায়ী নিতান্তই কম। আর আবাসন ব্যবসায়ীরা ফ্ল্যাট তৈরি ও বিক্রির ক্ষেত্রে উচ্চ ও উচ্চ-মধ্যবিত্ত মানুষকে টার্গেট করে।

ফ্ল্যাট কেনায় মোট টাকার ৭০ শতাংশ ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা থাকলেও বাকি ৩০ শতাংশ টাকা এককালীন পরিশোধ করতে হয়। কিন্তু এত টাকা এককালীন পরিশোধের সামর্থ্য নেই বেশির ভাগ ভাড়াটে মানুষের। তাদের আয়ের ৩০ শতাংশ টাকা চলে যায় বাসা ভাড়ায়।

তবে প্রতিবেদনে এককালীন টাকা ৩০ ভাগ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার সুপারিশ করে বলা হয়, এতে মানুষের ফ্ল্যাট কেনার আগ্র্রহ বাড়বে, পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের ব্যাপারেও ভয় কমবে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বেশির ভাগ মানুষ ভাড়া থাকেন এক হাজার বর্গফুটেরও ছোট বাসায়। তারা এ রকম ভাড়া বাড়িতেই থাকতে চান। আর ৫ ভাগ মানুষ থাকে দুই হাজার কিংবা ততোধিক বর্গফুট ফ্ল্যাটে।

গবেষণা প্রতিবেদনের প্রধান অধ্যাপক সেলিনা আজিজ বলেন, বাংলাদেশে শহুরে মানুষের ৪৪ শতাংশের বাস ঢাকায়। এর মধ্যে ৫৬ শতাংশ মানুষের ঢাকায় কোনো ফ্ল্যাট কিংবা বাড়ি নেই। তবে ৪৪ ভাগের বেশি মানুষ ফ্ল্যাট কিনতে চান না।

বাসস্থানের চাহিদা ও সরবরাহের ক্রমবর্ধমান ব্যবধান ও উচ্চমূল্য, ইমারত নির্মাণ বিধি লঙ্ঘন, ভাড়াটেদের নিরাপত্তাহীনতা, ভূমি ব্যবহার ও ভবন নির্মাণের অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে বৈষম্যসহ এ খাতের নীতি ও বিধির বিভিন্ন খেলাপ এবং প্রাসঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ের বিশ্লেষণ ও সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদন তৈরির ক্ষেত্রে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও সরকার, এনজিও, জাতিসংঘ ও রাজউকের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/৩১ডিসেম্বর/এসও/মোআ)