ব্যাংকের মহাজন কারা: পর্ব-১

ঋণখেলাপিদের নিয়ন্ত্রণে আর্থিক খাত?

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০১৮, ১৪:২২ | আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৮, ২১:৫১

তায়েব মিল্লাত হোসেন

তারা যেন চিরঋণী। হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন নানা কৌশলে। তা দেওয়ার নাম নেই। এ নিয়ে অস্থিরতা ব্যাংক খাতে। এই খাতে সুশাসনের পথ আসলে কী? লিখেছেন তায়েব মিল্লাত হোসেন। প্রচ্ছদের কার্টুন করেছেন আবু হাসান

চাপের মুখে উল্টোরথে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

মহাজনের কাছ থেকে কর্জ নিয়েছেন ২০ টাকা। সেই টাকা সুদে-আসলে হয়েছে ২০০ টাকা। তাই লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে ঘরবাড়ি দখল নিতে এসেছেন বন্ধকী মহাজন। এই বাস্তবতা সামন্ত আমলের। মহাজনী বা বন্ধকী যুগের অবসান হয়েছে আগেই। সময় এখন ক্ষুদ্র ঋণের। কিন্তু দারিদ্র্য বিমোচনে এই ঋণ অনুদান যারা নেন, তাদের কিন্তু ঠিক সময়েই তা ফেরত দিতে হয়। নইলে টাকার বদলে চালের টিন, গোয়ালের গরু-বাছুর কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে। তাই দীন-দরিদ্রদের ঋণ থেকে মুক্তি নেই। এতো সেই দুষ্টচক্র! ঘুরেফিরে ঋণের জালেই থাকতে হয় তাদের। অবশ্য ধারমুক্ত নন ধনবানরাও। তাদের ঋণ-অনুদান দিতে দু হাত বাড়িয়ে আছে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক। ঋণদানই যে তাদের কারবার! কিন্তু ঋণ দিতে দিতে দেশের কিছু ব্যাংক ফতুর হতে বসেছে। তাদের সহায়তায় নামতে হচ্ছে রাষ্ট্রকে। অথচ এসব ব্যাংকের পাওনা সুদে-আসলে টাকার পাহাড় গড়ছে। কিন্তু ঠিকঠাক আদায় নেই। আসবে কোত্থেকে?

নানান কারসাজিতে ফাঁকি দিয়ে বেড়াচ্ছে ঋণের সুবিধাভোগীরা। তাই আর্থিক খাতে উঠেছে ঝড়। চারদিকে নানান সন্দেহ-সংশয়। অথচ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়া বণিকরা আছে বহাল তবিয়তে। যেন ঋণদাতা নন, তারাই আসল মহাজন। চিরঋণীরাই এখন রথী-মহারথী। তাদের প্রভাবের কাছে প্রায়ই পিছু হটতে হয় কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। লাগামছাড়া ঋণ-অনুদান থামাতে ব্যাংকগুলোর আমানতের তুলনায় ঋণ বিতরণের সীমা সমন্বয়ের সময় ছিল আসছে জুন পর্যন্ত। এতে করে বেশকিছু ব্যাংকে অর্থাভাব দেখা দেয়। বেড়ে যায় সুদের হার। এ নিয়ে আবার ব্যবসায়ীদের অনুযোগের কোনো শেষ ছিল না। কী আর করা! বাধ্য হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনে জানায়, ব্যাংকগুলো ঋণসীমা সমন্বয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে। এভাবে ২০ দিন আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে উল্টোরথ ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এভাবে ঋণগ্রহীতারাই ক্ষমতাবান মহাজনের আচরণ করে আসছে আমাদের আর্থিক খাতে।

উদ্বেগের পরও বাড়ছে খেলাপি ঋণ

বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দুই অঙ্কের কোঠা অতিক্রম করেছে। গড়ে প্রতিমাসে ২ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণখেলাপি হয়ে যাচ্ছে। এসব নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে সরকারের ভেতর আর বাইরের সব মহলেই। তবু তা বেড়েই চলেছে। ২০১৫ সালে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ৯ শতাংশের নিচে ছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে তা ১০ শতাংশ অতিক্রম করেছে। বর্তমানে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এই খেলাপি ঋণের মধ্যে প্রকৃত খেলাপি ঋণ হচ্ছে ৮০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৪৫ হাজার কোটি টাকা অবলোপন (রাইট অফ) করা; যা পাওয়ার আশা নেই বললেই চলে। মোট বিতরণ করা ঋণের ১০ শতাংশের বেশি খেলাপি হওয়া উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর হিসাবে, শীর্ষ ২০ ঋণ খেলাপির কাছে বিপুল অঙ্কের টাকা আটকে আছে। জনতা ব্যাংকের মোট খেলাপি ঋণের ৪৯ শতাংশই আটকে আছে ২০ জনের কাছে। রূপালী ব্যাংকের ৫১ শতাংশই শীর্ষ ২০ খেলাপির কাছে। আর রাষ্ট্রায়ত্ত সবচেয়ে বড় ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের ৩২ দশমিক ৪ শতাংশ রয়েছে ২০ জনের কাছে।

খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি হওয়া গ্রাহকদের বিরুদ্ধে দৃশ্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাই খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। যাচাই-বাছাই ছাড়া যেসব নতুন ঋণ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলোও খেলাপিতে যোগ হচ্ছে। একই প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি বলেছেন, ‘ব্যাংকাররা ঋণ দেওয়ার পরের দিন থেকেই উদ্যোক্তাকে খেলাপি বানানোর চেষ্টা করে। উদ্যোক্তাকে কব্জায় আনতে ইচ্ছা করেই তাকে খেলাপি বানানো হয়। প্রকল্পে এমনভাবে ঋণ দেওয়া হয়, যাতে সে কোনোভাবেই যেন সফল হতে না পারে।’

খেলাপি বেশি আতিউরের আমলে

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত গভর্নরের দায়িত্ব পেয়েছেন মোট ১১ জন। এসব গভর্নরের মেয়াদে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ (অবলোপনসহ) সৃষ্টি হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর ৫৩ শতাংশই সৃষ্টি হয়েছে সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের মেয়াদে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ড. আতিউর রহমান ২০০৯ সালে গভর্নরের দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ছিল অবলোপনসহ ৩৭ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। সাত বছর দায়িত্ব পালন শেষে ২০১৬ সালের মার্চে পদত্যাগের সময় তিনি খেলাপি ঋণ রেখে যান ১ লাখ ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ তার মেয়াদেই খেলাপি ঋণ সৃষ্টি হয়েছে অবলোপনসহ ৬৬ হাজার কোটি টাকার বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম গভর্নর এএনএম হামিদুল্লাহর হাত ধরে যাত্রা করা কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর হিসেবে পেয়েছে আরো ১০ জনকে। বর্তমান গভর্নর ফজলে কবির দায়িত্ব পালন করছেন ১১তম গভর্নর হিসেবে। এ ১১ জন গভর্নরের মেয়াদে মোট খেলাপি ঋণের ৮৩ শতাংশই হয়েছে গত দুই দশকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সপ্তম গভর্নর হিসেবে ১৯৯৮ সালের ২৪ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। তার দায়িত্ব গ্রহণের বছর দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ২১ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা। তিন বছর দায়িত্ব পালন শেষে ২০০১ সালের ২২ নভেম্বর বিদায় নেন ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। দায়িত্ব ছাড়ার বছর দেশের ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ সাবেক এ গভর্নরের মেয়াদে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছিল ২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। ২০০১ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন ড. ফখরুদ্দীন আহমদ। তিনি প্রায় সাড়ে তিন বছর গভর্নর থাকাকালীন সময়ে ৬ হাজার ৯০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনা হয়। কিন্তু একই সময়ে অবলোপন করা হয় ৯ হাজার ১৩০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। গভর্নর হিসেবে ২০০১ সালে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। ২০০৫ সালে দায়িত্ব ছাড়ার বছর ২৬ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রেখে যান ড. ফখরুদ্দীন আহমদ।

নবম গভর্নর হিসেবে ২০০৫ সালের ১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকে যোগ দেন অর্থনীতিবিদ ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। ২০০৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা চার বছর গভর্নরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। গভর্নর হিসেবে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ছিল অবলোপনসহ ২৬ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা। প্রায় চার বছর পর ২০০৯ সালে তার দায়িত্ব ছাড়ার সময় ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় অবলোপনসহ ৩৭ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা ছিল খেলাপি ঋণ। বাকি ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা অবলোপনকৃত ঋণ। এ গভর্নরের চার বছরের মেয়াদে খেলাপি ঋণ বাড়ে ১১ হাজার ১৪০ কোটি টাকা। ড. আতিউর রহমান ২০০৯ সালের ১ মে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর পদে ছিলেন ২০১৬ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত। ড. আতিউর রহমান গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সময় অবলোপনসহ দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ছিল ৩৭ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। টানা সাত বছর দায়িত্ব পালন শেষে গভর্নর পদ থেকে পদত্যাগের সময় অবলোপনসহ দেশের ব্যাংকিং খাতে ১ লাখ ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রেখে যান তিনি। গভর্নর হিসেবে আতিউর রহমান দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের ব্যাংকিং খাতে অবলোপন বাদে খেলাপি ঋণ ছিল ২২ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা। কিন্তু দায়িত্ব ছাড়ার সময় ৬২ হাজার ১৮০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ রেখে যান তিনি। শুধু তার মেয়াদেই অবলোপন বাদে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকা, যা স্বাধীনতার পর প্রথম ৩৮ বছরে সৃষ্ট খেলাপি ঋণের প্রায় দ্বিগুণ।

২০১৬ সালের ২০ মার্চ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে রয়েছেন ফজলে কবির। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের সময় দেশের ব্যাংকিং খাতে অবলোপনসহ মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার ৩০৭ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এর মধ্যে অবলোপনকৃত ঋণ রয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা। বাকি ৮০ হাজার ৩০৭ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ। সে হিসাবে বর্তমান গভর্নরের মেয়াদে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ২০ হাজার ৮০৭ কোটি টাকা। ঋণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা প্রসঙ্গে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলামের মন্তব্য হচ্ছে, দেশের ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর সে প্রতিষ্ঠানের প্রধান। সুতরাং বাংলাদেশ ব্যাংকের যেকোনো অব্যবস্থাপনার জন্য প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে গভর্নর পদের দায়বদ্ধতা তৈরি হয়।

পরিচালকরা যখন গ্রহীতা

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে পরিচালকদের বিনিয়োগ মাত্র ৪৬ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। এই মূলধন বিনিয়োগের বিপরীতে পরিচালকরা ব্যাংক থেকে ঋণ হিসেবে তুলে নিয়েছেন এক লাখ ৪৩ হাজার ৭০৭ কোটি টাকারও বেশি। এ সময়ে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের ঋণ দিয়েছে সাত লাখ ৫২ হাজার ৭৩০ কোটি টাকা। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক খাতে আমানতকারীদের ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৮১৪ কোটি টাকারও বেশি অর্থ রয়েছে। এই টাকা থেকে ঘোষণা দিয়ে নেওয়া ঋণের বাইরে পরিচালকরা আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব বা অন্য কারও নামে আরও প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন।

ব্যাংকগুলোর পরিচালকের সংখ্যা এখন প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে সমঝোতাভিত্তিক বড় অঙ্কের ঋণ নিয়েছেন শতাধিক পরিচালক। তারা একজন আরেকজনের ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন। এই পরিচালকরা ইসলামী ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন ১১ হাজার ৯১০ কোটি টাকা, এক্সিম ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ৯ হাজার ১০৬ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ৮ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ৬ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ৬ হাজার কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়া থেকে নিয়েছেন ৫ হাজার ৬২৩ কোটি টাকা ও ঢাকা ব্যাংক থেকে নিয়েছেন ৫ হাজার ৫৩ কোটি টাকা। এর বাইরে আরও ৫০টি ব্যাংক থেকে পরিচালকরা প্রায় এক লাখ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। এই পরিচালকরা বেপরোয়াভাবে ঋণ নেওয়ার কারণে ঝুঁকিতে রয়েছেন ব্যাংকের আমানতকারীরাই। এরই মধ্যে আবার ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন করে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে এক পরিবারের চার সদস্যের থাকার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।

আগামীকাল দ্বিতীয় পর্ব: ব্যাংক খাতে আলোচিত যতো জালিয়াতি