আটজনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ

প্রকাশ | ০৭ মার্চ ২০১৮, ১৫:০৭ | আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮, ১৫:৫২

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নেত্রকোণায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আটজনকে আসামি করে দায়ের করা একটি মামলা মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

বুধবার দুপুরে নেত্রকোণা বিচারিক হাকিম আদালত-৪ এর বিচারক সৈয়দ আব্দুল্লাহ-আল-হাবিব শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

২৮ ফেব্রুয়ারি আদালতে কেন্দুয়া উপজেলার হারুলিয়া গ্রামের শিব্বির আহমেদ নামের এক ব্যক্তি নেত্রকোণা বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।

আসামিদের মধ্যে তিনজন হলেন হারুলিয়া গ্রামের আবু আশরাফ মিসবাহ উদ্দিন (৭৭), মহিউদ্দিন আহমেদ (৭০) ও গাজী রহমান ওরফে আলতু মিয়া (৮০)। বাকি পাঁচজনকে অজ্ঞাত পরিচয় দেখানো হয়েছে মামলায়।

মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী মো. শহিদুল্লাহ ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিরা স্বাধীনতাবিরোধী সংগঠন শান্তি কামিটি গঠন করেছিল। পরে তারা এলাকায়  রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামস বাহিনী গঠন করে নিরীহ মানুষ হত্যা, নারী ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজ চালান।

অভিযোগে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের শুরুর সময় ১৩৭৮ বাংলা সালের ৭ ভাদ্র দুপুরে আসামিরা পাকিস্তানি সেনাদের নিয়ে কেন্দুয়ার চিথোলিয়া পাল বাড়িতে আগ্নিসংযোগ এবং আশুতোষ পালসহ সাতজনকে গুলি করে হত্যা করে। একই দিন গোপালাশ্রম গ্রামের ধর বাড়ি ও ডাক্তার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

এর পাঁচ দিনের মাথায় ১২ ভাদ্র আসামিরা এলাকার চিকিৎসক খগেন্দ্র বিশ্বাসসহ চারজনকে ধরে ধোপাগাতি গ্রামের জামে মসজিদের সামনে রাজী নদীর নালায় নিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখেন। একই দিন এলাকায় বহু বাড়ি-ঘরে আগ্নিসংযোগ, লুটতরাজ ও ধর্ষণ চালান।

শহিদুল্লাহ আরো জানান, ওই দুই দিনই আসামি ও পাকিস্তানি সেনারা যৌথভাবে হামলা চালিয়ে বহু নারী-পুরুষ-শিশুদের আহত করে। সে সময় গুলিবিদ্ধ হওয়া রশিদা আক্তার নামের এক নারী হয়ে এখনও শরীরে গুলি বয়ে বেড়াচ্ছেন। মামলায় তাকেসহ ৫০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এ মামলার অন্যতম আসামি মহিউদ্দিন আহমেদ কেন্দুয়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি এবং কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সদস্য।

ঢাকাটাইমস/৭মার্চ/প্রতিনিধি/ডিএম