খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে আদেশ রবিবার

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০১৮, ১২:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের পর কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ আগামী রবিবার দেবেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশের বিষয়টি তার আইনজীবীরা আদালতের নজরে আনলে আদালত এই আদেশ দেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবদীন আদালতে বলেন, নিম্ন আদালত থেকে নথি আসা সংক্রান্ত আদেশের ১৬ দিন পেরিয়ে গেছে। নথি এসেছে কি না আমরা জানি না।

তখন আদালত বলেন, আপনাদের ম্যানশন সিলিপটা দেন। আর আগামী রবিবার এটা কজলিস্টে থাকবে।

এ সময় জয়নুল আবেদীন ছাড়াও আদালতে উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন, কায়সার কামাল ও এহসানুর রহমান।

এহসানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমরা সাড়ে ১০টার দিকে আদালতে গিয়েছিলাম। জয়নুল আবেদন বিষয়টি আদালতের নজরে আনলে আদালত বলেছেন আগামী রবিবার এটি কজলিস্টে থাকবে।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপি নেত্রীর জামির আবেদনের ওপর শুনানি হয়। সেদিন আদেশ না দিয়ে নথি দেখে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন দুই বিচারপতি। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা আপিল গ্রহণ করে ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নথি পাঠানোর আদেশ দেন। সেই অনুযায়ী ৭ মার্চ সেই সময় শেষ হচ্ছে। তবে হাইকোর্টের আদেশের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছেছে ২৫ ফেব্রুয়ারি। সেই অনুযায়ী আগামী ১১ মার্চ রবিবার হবে ১৫ দিন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয়। তিনি এখনো সেখানেই আছেন।

একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন কারাগারে আছেন। বাকি তিন জন তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী পলাতক।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে আপিল করতে ১১ দিন লেগে যায় রায়ের অনুলিপি না পেতে বিলম্বের কারণে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পরদিন উচ্চ আদালতে আপিল করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে।

(ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/এমএবি/এমআর)