স্বেচ্ছামৃত্যুর বৈধতা দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

প্রকাশ | ০৯ মার্চ ২০১৮, ১৪:৩১ | আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৮, ১৯:১৫

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মৃত্যুশয্যায় যারা নিদারুণ কষ্ট ভোগ করেছেন তাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমতি দেয়া হবে। তবে এই অনুমতি মিলবে কঠোর নির্দেশিকা বা গাইডলাইনের ভিত্তিতে। শুক্রবার এক ঐতিহাসিক রায়ে জানিয়ে দিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

সুইজারল্যান্ডের মতো গুটিকয়েক পশ্চিমা দেশে আগে থেকেই স্বেচ্ছামৃত্যুকে অধিকার বলে মেনে নিয়েছে। যদিও ভারতে তা আত্মহত্যার সামিল, দণ্ডনীয় অপরাধ। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আজকের রায়ে কিন্তু গোটা অবস্থাটাই বদলে গেল।

স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে ‘কমন-কজ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বলেছিল, ‘বেঁচে থাকাটা মানুষের ব্যক্তিগত আধিকার। ঠিক তেমনই মরণাপন্ন কোনও ব্যক্তি যদি রোগ-যন্ত্রণা ভোগ করার বদলে সম্মানের সঙ্গে মরতে চান, তবে তাকেও সে অধিকার দেয়া উচিত।’

আজকের রায়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ প্যাসিভ ইউথ্যানাসিয়াকে স্বীকৃতি দিলেও চাপিয়েছে একগুচ্ছ কড়া শর্ত।

শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, চিকিৎসায় সুস্থ হতে পারবেন না, এমন কোনও ব্যক্তি যদি ভেন্টিলেটর কিংবা আর্টিফিশিয়াল সাপোর্ট সিস্টেমের সাহায্যে বেঁচে থাকতে না চান, তবে তাকে সজ্ঞানে ‘লিভিং উইল’ করে স্বেচ্ছামৃত্যু চেয়ে রাখতে হবে। রোগী যদি এমন অচেতন অবস্থায় পৌঁছে যান যে সেই অবস্থা থেকে ফেরানোর আর সম্ভাবনা নেই, তখন সেই উইল বা ইচ্ছাপত্রের ভিত্তিতে হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন রোগীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু বা নিকট কোনও আত্মীয়। এরপর আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে গঠিত মেডিকেল বোর্ড বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়কে কমন কজের মতো সংগঠনগুলো স্বাগত জানিয়েছে।

তাদের বক্তব্য, বেঁচে থাকাটা যাদের কাছে যন্ত্রণা, সেই সব মানুষেরা এ বার শান্তিতে মরতে পারবেন। এটাই বা কম কীসের?

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

(ঢাকাটাইমস/৯মার্চ/এসআই)