জাহাঙ্গীর-হাসানে সদ্ভাব, মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদ

ইফতেখার রায়হান, টঙ্গী (গাজীপুর)
| আপডেট : ০৪ জুলাই ২০১৮, ২০:১৬ | প্রকাশিত : ০৪ জুলাই ২০১৮, ১৭:০১

এই সেদিনও ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বী, ভোটের লড়াইয়ে নেমে তুলছেন একের পর এক অভিযোগ। ভোট শেষেও কমতি ছিল না নেতিবাচক কথার। তবে মুহূর্তেই দেখা গেল সদ্ভাব।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ভোটের আট দিন পর বুধবার যান তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হাসান উদ্দিন সরকারের কাছে। আর গত যা এতদিন ছিল অকল্পনীয়, তাই দেখা যায় আজ।

কুশল বিনিময়, মিষ্টিমুখের পর জাহাঙ্গীরের মাথায় হাত বুলিয়ে আশীর্বাদও করে দেন বিএনপির প্রবীণ নেতা হাসান সরকার।

জাহাঙ্গীর তার ছয়দানার বাসভবন থেকে বের হয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হাসান সরকার প্রতিষ্ঠিত টঙ্গীর আহসান উল্লাহ সরকার ইসলামিক ফাউন্ডেশনে যান। সেখানেই ছিলেন বিএনপির পরাজিত প্রার্থী।

দেখা হতেই তারা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি ও কুশল বিনিময় করেন। পরে তারা একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দেন।

নব নির্বাচিত মেয়র দেখা করতে আসছেন, এটা অবশ্য আগেই জানতেন হাসান। তিনিও নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ে অপেক্ষায় ছিলেন সাক্ষাতের জন্য।

ভোটের পরদিন জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, এই নগর সবার, বিএনপিরও। উন্নয়নের জন্য তিনি তাদেরও সহযোগিতা চান। জানান, হাসান সরকারের কাছে গিয়ে কথাগুলো বলবেন তিনি।

কুশল বিনিময়ের পর জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমি দায়িত্ব পালনকালে আপনার সঙ্গে সব সময় পরামর্শ ও তার সহযোগিতা কামনা করব। সকলে মিলেমিশে এ নগরীর উন্নয়নে কাজ করব। নগরীর উন্নয়নে সকলে হাতে হাত ও কাঁধে কাঁধ রেখে এক সঙ্গে মিলেমিশে উন্নয়ন কাজ করে যাব। সবার সহযোগিতায় একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে চাই। নগরীতে একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখব।’

জাহাঙ্গীরের ভালো কাজে সহযোগিতা থাকবে জানিয়ে হাসান বলেন, ‘নির্বাচনের পূর্বে জনগণকে যে ওয়াদা দিয়ে ছিলেন তা যেন বাস্তবায়ন করা হয়।’

হাসান বলেন, গাজীপুর শিক্ষায় পিছিয়ে ছিল। জনগণকে শিক্ষিত করার জন্য তিনি অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতেও জাহাঙ্গীরের প্রতি আহ্বান জানান।

‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে না দেখে মেধা ও যোগ্যতার দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় যেনো প্রতিভাকে মূল্যায়ন করা হয়।’

পরে আমন্ত্রিত সবাইকে পায়েস খাইয়ে আপ্যায়ন করেন হাসান উদ্দিন সরকার। এ সময় নবনির্বাচিত বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরও উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ জুনের ভোটে হাসান সরকারকে দুই লাখের বেশি ভোটে হারিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় মেয়র নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর। নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পান চার লাখের কিছু বেশি ভোট। আর হাসানের ধানের শীষ প্রতীকে পড়ে এক লাখ ৯৭ হাজারের কিছু বেশি ভোট।

হাসানের অবশ্য ভোটের পরিবেশ নিয়ে আপত্তি আছে। তার দাবি, কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হয়েছে। তবে জাহাঙ্গীর একে না জেনে অপপ্রচার বলেছেন।

ঢাকাটাইমস/০৪জুন/আইআর/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :