তিস্তার পানিতে প্লাবিত ২০ লালমনিরহাটের গ্রাম

প্রকাশ | ০৪ জুলাই ২০১৮, ১৭:৫৭

লালমনিরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণে তিস্তার পানি বিপদসীমার প্রায় কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সকাল থেকে বিপদসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। এতে  তিস্তার পাশ্ববর্তী এলাকাগুলো প্লাবিত হয়েছে।

তিস্তা ব্যারাজের বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকাল থেকে তিস্তার পানি প্রবাহ বাড়তে থাকে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার মাত্র ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে নতুন বিপদসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

তিস্তা, সানিয়াজান ও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে কয়েকদিন আগে তলিয়ে যাওয়া ঘর-বাড়িগুলো  আবারো পানিতে তলিয়ে গেছে।

নতুন করে জেলার পাটগ্রাম উপজেলার আঙ্গোরপোতা-দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গড্ডিমারী, সিঙ্গিমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ও ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়ন এবং কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী এলাকাসহ ২০ গ্রামের  ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার একর আমন ধানের ক্ষেতসহ অনেক ফসলি ক্ষেত। হুমকির মুখে পড়েছে হাতীবান্ধা উপজেলার ধুবনী গ্রামের অস্থায়ী বাঁধ ও গত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ আদিতমারী উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ অন্যান্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। 

এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড দোয়ানী-ডালিয়া কন্ট্রোল রুম ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, গত বুধবার ভোর ৬টা থেকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৫সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যে কোন সময় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। পানি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যারেজের সবগুলো  গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৪জুলাই/প্রতিনিধি/ওআর)