ধর্ষণের দায়ে ১৬ বছর পর আসামির যাবজ্জীবন
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এক বিধবা নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। ধর্ষক পলাতক রয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কবির হোসেন জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন কোর্টের পিপি নিশাত সালাউদ্দিন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০১ সালের ৯ নভেম্বর জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মৃত শান্তি মিয়ার বিধবা স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী মাটিকাটা শ্রমিক হালিমা খাতুনকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের কবির হোসেন। ফলে হালিমা গর্ভবতী হয়ে পড়ে। কবির হোসেন গর্ভপাত করানোর জন্য হালিমাকে চাপ দেয়। ঘটনাটি কাউকে বললে হালিমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপরেও হালিমা ব্যাপারটি কবির হোসেনের অভিভাবককে জানায়। তারপরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হালিমা খাতুন ২০০২ সালের ১১ মে কবির হোসেনকে আসামি করে দাউদকান্দি থানায় নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা করে। পরবর্তীতে হালিমার একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয়।
পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত একই বছরের ২৫ জুলাই কবির হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসিট দাখিল করে। ৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত কবির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
(ঢাকাটাইমস/৪জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)